Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Ketugram: পঞ্চায়েতের টাকা সরিয়ে ফ্ল্যাট কেনার অভিযোগ! দেখা মাত্রই উপপ্রধানকে তাড়া বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের

Ketugram: তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপপ্রধান সুবীর পাল। এমনকী গ্রামবাসীদের অভিযোগকেও মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

Ketugram: পঞ্চায়েতের টাকা সরিয়ে ফ্ল্যাট কেনার অভিযোগ! দেখা মাত্রই উপপ্রধানকে তাড়া বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 04, 2022 | 10:14 PM

কেতুগ্রাম: গ্রামের রাস্তা খারাপ, স্কুলে যেতে সমস্যা এলাকার পড়ুয়াদের। রাস্তা সারাইয়ের জন্য একাধিকবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও কোনও লাভ হয়নি। আর সে কারণেই বৃহস্পতিবার স্কুল পড়ুয়ারা একজোট হয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল কেতুগ্রামের (Ketugram) বিললেশ্বর গ্রামে। কিছু সময় পর তাদের প্রতিবাদ কর্মীসূচিতে যোগ দেন গ্রামের অন্যান্য বাসিন্দারাও। এদিকে ঘটনাচক্রে দুপুর ২টো নাগাদ ওই রাস্তা দিয়েই যাচ্ছিলেন গ্রাম পঞ্চায়েতের (Gram Panchayat) উপপ্রধান সুবীর পাল। তাঁকে দেখা মাত্রই বিক্ষোভের তীব্রতা আরও বাড়ে। রে রে করে ছুটে যান প্রতিবাদরা। এদিকে বিক্ষোভকারীদের রুদ্র রূপ দেখে ভয় পেয়ে যান উপপ্রধান। ঢুকে পড়েন স্থানীয় একটি দোকানে। যদিও সেখানেও তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। 

এ ঘটনাতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কেতুগ্রামে। পরবর্তীতে খবর যায় পুলিশে। বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় বিক্ষোভকারীদের। শেষপর্যন্ত কেতুগ্রাম থানার আইসি গিয়ে উপপ্রধানকে উদ্ধার করেন। এদিকে এলাকার বাসিন্দারা উপপ্রধানের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েতের টাকা তছরুপের অভিযোগ তুলেছেন। এমনকী সেই টাকায় বর্ধমানে তিনি একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন বলেও স্থানীয়দের অভিযোগ। এ প্রসঙ্গে বিক্ষোভরত এক জনৈক বাসিন্দা বলেন, “সব টাকা লুটেপুটে খেয়েছে। বর্ধমানে, কাটোয়ায় ফ্ল্যাট কিনেছে। কিন্তু রাস্তার সমস্যা দূর হচ্ছে না। মানুষ হেঁটে যেতে পারছে না।”

তবে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপপ্রধান। এমনকী গ্রামবাসীদের অভিযোগকেও মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। ঘটনা প্রসঙ্গে উপপ্রধান সুবীর পাল বলেন, “কী কারণে আমাকে মারতে এল আমি জানিনা। রাস্তা সারাইয়ের কাজের ব্যাপারে সব কথা হয়েছে। বর্ষার জন্য হয়তো কাজল শুরু করা যাচ্ছে না। আমি কোনও টাকা পয়সা সরাইনি। সব মিথ্যা কথা। রাস্তা খারাপের জন্য মানুষের ক্ষোভ রয়েছে। কিন্তু আমরাও এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন।”