Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

কবে উড়বে ভারতের নিজস্ব ফিফ্থ জেনারেশন ফাইটার জেট? দিনক্ষণ জানালেন DRDO চেয়ারম্যান

লুকিয়ে হামলা চালানোর দক্ষতা থাকে এই বিমানের। শত্রুর রেডারে ধরা পড়ে না। সাধারণ যুদ্ধবিমান যে উচ্চতায় উড়তে পারে, তার চেয়েও অনেকটা উপরে অপারেট করতে পারে এই বিমান। করতে পারে নানা কসরত।

কবে উড়বে ভারতের নিজস্ব ফিফ্থ জেনারেশন ফাইটার জেট? দিনক্ষণ জানালেন DRDO চেয়ারম্যান
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 14, 2025 | 9:35 PM

আমেরিকা, রাশিয়া, চিন — বিশ্বের তাবড় দেশগুলির সঙ্গে এবার একই সারিতে বসতে চলেছে ভারত। তৈরি হচ্ছে ভারতের নিজস্ব ফিফ্থ জেনারেশন ফাইটার জেট। সুপারসনিক গতিবেগ, শত্রুর রেডারে ধরা না পড়া, অত্যাধুনিক, মারণাস্ত্র বহনক্ষমতা সম্পন্ন, সুপারক্রুজ পারফরম্যান্স- এই সব গুণের মানদণ্ডে ঠিক হয় ফিফ্থ জেনারেশন ফাইটার জেট। ভারতও দ্রুতই তাদের নিজস্ব ফিফ্থ জেনারেশন ফাইটার জেট তৈরি করে ফেলবে। এবার তার দিনক্ষণও জানিয়ে দিলেন ডিআরডিও চেয়ারম্যান সমীর ভি কামাথ।

এমন কী রয়েছে এই ফাইটার জেটে? কেন এত কম দেশের কাছেই রয়েছে এই যুদ্ধবিমান?

২১ শতকের গোড়ার দিকে প্রথম ফিফ্থ জেনারেশনের ফাইটার জেট প্রকাশ্যে আসে। লুকিয়ে হামলা চালানোর দক্ষতা থাকে এই বিমানের। শত্রুর রেডারে ধরা পড়ে না। সাধারণ যুদ্ধবিমান যে উচ্চতায় উড়তে পারে, তার চেয়েও অনেকটা উপরে অপারেট করতে পারে এই বিমান। করতে পারে নানা কসরত। ছোট রানওয়ে থেকে উল্লম্বভাবে আকাশে উড়তে পারে। যুদ্ধজাহাজ থেকে উড়ে যেতে পারে। পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজের অবস্থান দ্রুত বদলাতে পারে, ফলে শত্রুর হামলায় পাইলটের প্রাণ যাওয়ার সম্ভবনা প্রায় শূন্য। ওজন কম থাকায় গতিবেশ ফোর্থ জেনারেশন ফাইটার জেটের চেয়েও বেশি। শব্দের চেয়ে অন্তত ৩-৫ গুণ দ্রুত ওড়ে। হামলা চালানোর জন্য অত্যাধুনিক অস্ত্র বহন করতে পারে। অটোমেটিক টার্গেট ট্র্যাক করতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা, এত দ্রুত ওড়ে যে টার্গেট বোঝার আগেই সেই টার্গেটকে ধ্বংস করতে সক্ষম।

সাধারণত, কোনও দেশের নিজস্ব প্রযুক্তিতে এই ধরনের যুদ্ধবিমান তৈরিতে অন্তত ১০-১৫ বছর লাগে। ভারত ২০২৪-এ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ফিফ্থ জেনারেশন ফাইটার যেতে নির্মাণে হাত দিয়েছিল। ২০৩৫-এর মধ্যে ভারতের অ্যাডভান্সড মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্রাফট (AMCA) তৈরি হয়ে যাবে, আশা কামাথের। তিনি বলেন, ‘এয়েরো ইঞ্জিন প্রোগ্রাম অত্যন্ত জটিল টেকনোলজি। কাবেরী ইঞ্জিনের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করে আমরা অনেক কিছু শিখেছি, শিখছি। আমরা যখন কাবেরী নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন সেসময় কাবেরী ফোর্থ জেনারেশন ইঞ্জিন ছিল, আজ কাবেরী ইঞ্জিন ষষ্ঠ জেনারেশনের ইঞ্জিন হিসাবে উঠে আসছে।’ সবকিছু ঠিকঠাক চললে, ফিফ্থ জেনারেশনের ফাইটার জেট তৈরিতে যাতে সময় কম লাগে, সে কারণে রাশিয়ার মতো দেশের কাছ থেকে কিছু প্রযুক্তি নিতেও পারে ভারত, জানিয়েছেন ডিআরডিও চেয়ারম্যান।