Fraud Case: অ্যাপের মাধ্যমে টাকা তো রাখেন অনেকেই, ১২ শতাংশ সুদের চক্করে গেল সব!

Kalna: কালনার বাসিন্দা মৌসুমী রায়, প্রহ্লাদ মণ্ডলরা শুক্রবার মহকুমা শাসকের দফতরে যান। অভিযোগ, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে কালনার কৃষ্ণদেবপুর গ্রামের আশুরঞ্জন শিকদার অধিক মুনাফার কথা বলে এই অ্যাপের বিষয়ে জানান। বলেছিলেন, টাকা রাখলে মাসে ১২ শতাংশ সুদে টাকা ফেরত পাবেন।

Fraud Case: অ্যাপের মাধ্যমে টাকা তো রাখেন অনেকেই, ১২ শতাংশ সুদের চক্করে গেল সব!
মহকুমা শাসকের দফতরে প্রতারিতরা। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 24, 2024 | 8:51 PM

কালনা: অ্যাপের মাধ্যমে বিপুল টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল কালনায়। এ নিয়ে মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ অভিযোগকারীরা। এই ঘটনায় আশুরঞ্জন শিকদার বলে এক ব্যক্তির নামে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, এই ব্যক্তি নিজেকে নেতা ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করে বহু মানুষকে প্রভাবিত করেন। এমনকী বিধায়কের সঙ্গে ছবি দেখিয়ে নিজের প্রভাব বোঝানোর চেষ্টা করেন। যদিও অভিযুক্তর পাল্টা দাবি, তিনি কারও থেকে টাকা নেননি। বরং তিনি নিজেও প্রতারিত বলে দাবি করেছেন। অন্যদিকে কালনার বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ জানান, কে কখন ছবি তুলছে মনে রাখা যায় না। তবে কেউ অন্যায় করলে বিচার হবেই।

কালনার বাসিন্দা মৌসুমী রায়, প্রহ্লাদ মণ্ডলরা শুক্রবার মহকুমা শাসকের দফতরে যান। অভিযোগ, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে কালনার কৃষ্ণদেবপুর গ্রামের আশুরঞ্জন শিকদার অধিক মুনাফার কথা বলে এই অ্যাপের বিষয়ে জানান। বলেছিলেন, টাকা রাখলে মাসে ১২ শতাংশ সুদে টাকা ফেরত পাবেন।

মৌসুমী বলেন, “আশুরঞ্জন শিকদারের কথা শুনেই এই প্রতারণায় পড়ি আমরা। টাকা রাখার পর প্রথম তিন মাস ঠিকমতো টাকা পাই। এরপর দিনের পর দিন টাকা নিয়ে ঘোরাচ্ছেন। এটা একটা অ্যাপ। শেয়ার মার্কেটে টাকা খাটবে বলেছিলেন। উনি বলেছিলেন একটা একেবারে সেফ সিকিওর। যখন খুশি টাকা তুলে নিতে পারবেন। ১২ পারসেন্ট মাসে সুদ পাবেন বলেছিলেন। লোন করে টাকা দিই। লোনের কিস্তির চিন্তায় আমার স্বামী পথদুর্ঘটনার কবলে পড়ে মারা যান। আমি খুবই খারাপ অবস্থায় পড়ি।”

প্রহ্লাদ মণ্ডল জানান, অ্যাপের মাধ্যমে তিনিও ১ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা দেন। প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এছাড়া ওই এলাকার অনেক মানুষই প্রতারিত বলে তাঁর দাবি। টাকা চাইলের প্রভাবশালীদের নাম করে হুমকি দেওয়া হয় বলে আশুরঞ্জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ।

যদিও আশুপরঞ্জন বলেন, “অভিযোগ তো অনেকেই করতে পারে। আমাকে তো কেউ টাকা দেয়নি। আর আমি তো কারও থেকে টাকা কেড়ে নিইনি। কেউ নিজের ইচ্ছায় টাকা রাখলে সেটার দায় তো আমার নয়। আর টাকা তো কোম্পানিতে রেখেছেন। আমাকে তো দেননি। আমিও ইনভেস্টার, উনিও ইনভেস্টার। আমার মতো শত শত লোক ভুক্তভোগী। কোম্পানি টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে। আমরা ১৫-২০ বার ঘাটালে গিয়েছি কোম্পানির মালিকের বাড়ি। দেখাই করছেন না। বাড়িতে তালা ঝুলছে। ভোট মিটলে ঠিক করেছি ঘাটাল থানায় অভিযোগ করব। আর আমার নামে অভিযোগ করলে কী করব। টাকা তো আমি নিইনি।”