Burdwan Fire: মধ্যরাতে নিদ্রাচ্ছন্ন যাত্রীরা, কলকাতা থেকে ছাড়ার ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল বাস! ভয়ঙ্কর ঘটনা
Burdwan Fire: আকস্মিকতার ঘোর তখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি যাত্রীরা। বাসের পিছন থেকে ধোঁয়া বের হতে শুরু করে। শুরু হয় হুড়োহুড়ি। বাস থেকে দ্রুত নামতে থাকেন যাত্রীরা।
বর্ধমান: মাঝ রাতে ফাঁকা রাস্তায় দ্রুত গতিতে ছুটছিল বাস। যাত্রীরাও তখন নিদ্রাচ্ছন্ন। আচমকাই বিকট শব্দ। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাসটি টালমাটাল হয়ে থেমে যায় কয়েক মিটার এগিয়ে। আকস্মিকতার ঘোর তখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি যাত্রীরা। বাসের পিছন থেকে ধোঁয়া বের হতে শুরু করে। শুরু হয় হুড়োহুড়ি। বাস থেকে দ্রুত নামতে থাকেন যাত্রীরা। রবিবার মধ্যরাতে চলন্ত বাসে আগুন লাগে। ভস্মীভূত হয়ে যায় গোটা বাস। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানের ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের রেনেসাঁর কাছে। তবে আগুনে হতাহতের খবর নেই। দমকলের দুটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বাসে যাত্রীদের মালপত্র সবই পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা থেকে দুমকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল বাসটি। পথে বর্ধমানের রেনেসাঁর কাছে আচমকাই বাসে একটি প্রচণ্ড শব্দ হয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বাসে পিছনের চাকা ফেটে যায়। তার থেকেই আগুন ধরে যায়। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে গোটা বাসটি। খবর দেওয়া হয় দমকলে।
যাত্রীরা নিজেরাই বাস থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন। তবে দমকলের দুটি ইঞ্জিন যতক্ষণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে, ততক্ষণে পুড়ে খাক হয়ে যায় বাসটি। যাত্রীরা বাস থেকে নামতে পারলেও যাত্রীদের মালপত্র সবই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।
বাসের যাত্রী ছিলেন বিসি রায় শিশু হাসপাতালেরই এক কর্মী। ঘটনার ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানান। তিনি বলেন, “বাসটা প্রথমে একটা টায়ার ফেটে যায়। তারপর আরেকটা টায়ার। মুহূর্তে আগুন ধরে যায়। আমাদের হাসপাতালের একটা টিম চলে এসেছিল। সব যাত্রীদের সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা গিয়েছে।” যেহেতু মধ্যরাতে ঘটনাটি ঘটেছে, তাই বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিলই।