Purba Bardhaman : বয়স হয়নি, বিয়েতে বসেছিল নাবালক-নাবালিকা, খবর পেতেই ছুটে গেল পুলিশ
Purba Bardhaman : জেলা লিগাল সার্ভিস অথরিটির কৈলাস দত্ত জানান, পাত্র এবং পাত্রী দুজনেই নাবালক। তারা বোঝানোয় দুই বাড়ির লোকেরাই শেষ পর্যন্ত আপাতত বিয়ে না দিতে রাজি হয়েছেন।
পূর্ব বর্ধমান : পূর্ব বর্ধমানের আমাড় গ্রামে নাবালক এবং নাবালিকারা বিয়ে আটকাল চাইল্ড লাইন (Child Line)। পুলিশ এবং লিগাল সার্ভিস অথরিটির প্রতিনিধিরাও বিয়ে না দেওয়ার জন্য পাত্র ও পাত্রী পক্ষের বাড়ির লোকজনদের রাজি করান। আলোচনার পর মেয়ের বয়স ১৮ হলে তবেই বিয়ে দিতে সম্মত হন মেয়ের পরিবারের সদস্যরা। উভয় পরিবারই খুব গরিব। আমাড় গ্রামে চলছিল বিয়ের প্রস্তুতি। তখনই খবর পায় চাইল্ড লাইন।
চাইল্ড লাইনের তরফে মালতী মুর্মূ জানান; ‘আমরা খবর পেয়ে থানায় অভিযোগ করি। পুলিশ এবং লিগাল সার্ভিস অথরিটির প্রতিনিধিরাও গ্রামে আসেন। আমরা কনেপক্ষকে রাজি করাই এবং বোঝাই মেয়েটির ১৮ বছর হতে কিছুটা বাকি আছে। ১৮ হবার পর বিয়ে দেবেন। তারা শেষ পর্যন্ত আমাদের কথায় রাজি হন।’ তিনি আরও বলেন, “চাইল্ডলাইনের পক্ষ থেকে মানুষকে সচেতন করার কাজ চলছে। সচেতন না হলে এ কাজ পুরোপুরি বন্ধ হবে না। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি সবার আগে প্রয়োজন।”
জেলা লিগাল সার্ভিস অথরিটির কৈলাস দত্ত জানান, পাত্র এবং পাত্রী দুজনেই নাবালক। তারা বোঝানোয় দুই বাড়ির লোকেরাই শেষ পর্যন্ত আপাতত বিয়ে না দিতে রাজি হয়েছেন। তাঁর কথায়, “ভালোয় ভালোয় সব মিটে গিয়েছে। মেয়েটি নিজেও ব্যাপারটা বুঝেছে।” অন্যদিকে পাত্র ও পাত্রীপক্ষের আত্মীয়রা জানাচ্ছেন দুজনের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকেই ভালবাসার সম্পর্ক ছিব। ছেলেটিই বিয়ে করার জেদ করায় বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। তবে তাঁদের অনেকেরই মনে কিছুটা দ্বিধা ছিল। তবে, এখন আর ১৮ না হলে তাঁরা দুজনের বিয়ে দেবেন না বলে জানিয়েছেন। একইসঙ্গে মেয়ের বিয়ের বয়স হওয়ার পাশাপাশি ছেলেরও যাতে সঠিক সময়ে বিয়ে দেওয়া হয় তা তাঁরা নজর রাখবেন বলে জানিয়েছেন।