Bardhaman Station: রেলের বিরুদ্ধে FIR করল বর্ধমানে ট্যাঙ্ক দুর্ঘটনায় মৃতের পরিবার
Bardhaman Station: গতকাল মাফিজা খাতুনের মৃত্যুর পর ক্ষতিপূরণের দাবি তুলে সরব হয় পরিবার। তবে রেলে তরফে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পরিবারের দাবি,রেলের তরফে বলা হয় ক্ষতিপূরণের জন্য নথিপত্র লাগবে, তারপরই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। মাফিজার দেহ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয়।
বর্ধমান: বর্ধমানে জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ার ঘটনায় রেলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলল মৃতের পরিবার। এই মর্মে রেলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করলেন মৃত মাফিজা খাতুনের স্বামী। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানালেন তিনি। মেমারির বাসিন্দা আবদুল মাফিদ শেখের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান জিআরপি।
গতকাল মাফিজা খাতুনের মৃত্যুর পর ক্ষতিপূরণের দাবি তুলে সরব হয় পরিবার। তবে রেলে তরফে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পরিবারের দাবি,রেলের তরফে বলা হয় ক্ষতিপূরণের জন্য নথিপত্র লাগবে, তারপরই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। মাফিজার দেহ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয়। সেই মতো আবার হাসপাতালে ফেরে তাঁর পরিবার। কিন্তু বেশ কয়েক ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরও ক্ষতিপূরণের টাকা মেলেনি বলে অভিযোগ। যদিও, পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্রের সঙ্গে। তিনি অবশ্য আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, মৃতের স্বামীর কাছে কোনও প্রামাণ্য নথি ছিল না।
উল্লেখ্য, গতকাল দুপুর নাগাদ আচমকাই দুই ও তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে ভেঙে জলের ট্যাঙ্ক। জানা গিয়েছে, ৫৩ হাজার ৮০০ গ্যালনের বিশাল জলের ট্যাঙ্কটি রাখা ছিল সেটি। এবার প্ল্যাটফর্মের নিচে যাঁরা দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁদের মাথায় ভেঙে পড়ে ওই ট্যাঙ্কটি। ঘটনায় মৃত্যু হয় তিনজনের। আহত একাধিক। মৃত ও আহতদের পরিবারের উদ্দেশ্যে ক্ষতিপূরণও ঘোষণা করেছে রেল।
এ দিকে, কালকের দুর্ঘটনার পর জলট্যাঙ্ক ও সেডের ভাঙা অংশ সরিয়ে ফেলেছে রেল। অবশিষ্টা ভাঙা ট্যাঙ্কের নিচ দিয়েই যাতায়াত চলছে অবাধে। তবে নিত্যযাত্রীদের আশঙ্কা বাকি অংশ ভেঙে পড়ে আবার দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।