Bardhaman Station Accident: তালিকায় নাম নেই, আহত হয়েও ক্ষতিপূরণের ৫০ হাজার না পাওয়ার অভিযোগ রাবরি বিবি
Bardhaman Station Accident: জানা গিয়েছে, আহত ওই তিন যাত্রী ধানবাদের দুমকা জেলা থেকে ধান কাটার কাজ করতে বর্ধমানের গলসির তেঁতুলমুড়ি গ্রামে এসেছিলেন রাবরি বিবি ও তার পরিবার। তখনই যত বিপত্তি। পড়ে তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা সারিয়ে তোলেন তাঁদের।
বর্ধমান: কথায় বলে না বিপদ বলে কয়ে আসে না! বুধবার বর্ধমান স্টেশনে জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ার খবর আরও একবার যেন সেই প্রবাদকেই মনে করিয়ে দিল। ধান কাটার কাজ করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনজন। সেই সময় হঠাৎই অত ভারী জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ল মাথায়। মুহূর্তেই সব কিছু কালো হয়ে গেল। ওরা কি কখনও ভেবেছিলেন এই ঘটনা ঘটতে পারে?
জানা গিয়েছে, আহত ওই তিন যাত্রী ধানবাদের দুমকা জেলা থেকে ধান কাটার কাজ করতে বর্ধমানের গলসির তেঁতুলমুড়ি গ্রামে এসেছিলেন রাবরি বিবি ও তার পরিবার। তখনই যত বিপত্তি। পড়ে তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা সারিয়ে তোলেন তাঁদের।
আহত যাত্রী রাবরি বিবি জানান,”আমি ও আমার স্বামী মাকাইল শেখ ধান কাটার কাজের জন্য এখানে এসেছিলাম। আমার সঙ্গে ছেলে মুকসুদ আনসারিও ছিল। যে সময় বর্ধমান স্টেশনে জলট্যাঙ্ক ভেঙে পরে সে সময় আমরা ৩ জন দু’নম্বর প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে ছিলাম ট্রেন ধরার জন্য। তারপর আর কী?” ওই মহিলা জানান, সেখান থেকে তাঁদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় রাবরি বিবি, তাঁর স্বামী ও ছেলেকে আপ ময়ুরাক্ষী এক্সপ্রেসে তুলে দেন রেলকর্মীরা। তবে রাবরী বিবির দাবি, কোনও ক্ষতিপূরণের অর্থ পাননি তাঁরা। বিষয়টি শুনে পূর্ব রেলের সিপিআরও কৌশিক মিত্র জানান, “হাসপাতাল থেকে যে নামের তালিকা দেওয়া হয়েছিল সেই তালিকা অনুযায়ী প্রত্যেককে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হয়েছে। রাবরি বিবির নাম সেই তালিকায় ছিল না, তাই তিনি ক্ষতিপূরণ পাননি।” তবে বিষয়টি জানার পর স্টেশনের প্লাটফর্মে ক্ষতিপূরণের পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হয় রাবরি বিবিদের।