Bardhaman Station: ‘এখনই টাকা লাগবে, নাহলে দেহ এখানেই পড়ে থাকবে’, ফুঁসছে মৃতের পরিবার
Water Tank Collapse: বেশ কয়েক ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরও ক্ষতিপূরণের টাকা মেলেনি বলে অভিযোগ। এখন পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, আগে ক্ষতিপূরণ মিলবে, তারপরই তাঁরা দেহ নিয়ে যাবে। পরিবারের অভিযোগ, "আমাদের এখানে ডেকে হ্যারাস করা হচ্ছে। ওটা তো বেওয়ারিশ দেহ নয়। সবই তো রয়েছে।"
বর্ধমান: বর্ধমান স্টেশনে বুধবার ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে। জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়েছে স্টেশনে। দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। রেলের তরফে ইতিমধ্যেই মৃতদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। জলের ট্যাঙ্ক বিপর্যয়ে মৃত্যু হয়েছে মাফিজা বেগমেরও। তাঁর দেহের ময়নাতদন্তও হয়ে গিয়েছে অনেকক্ষণ। ময়নাতদন্তের পর পরিবারের লোকেরা দেহ নিয়ে চলেও যাচ্ছিল। সেই সময়েই রেলে তরফে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পরিবারের দাবি, রেলের তরফে বলা হয় ক্ষতিপূরণের জন্য নথিপত্র লাগবে, তারপরই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। মাফিজার দেহ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয়।
সেই মতো আবার হাসপাতালে ফেরে তাঁর পরিবার। কিন্তু বেশ কয়েক ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরও ক্ষতিপূরণের টাকা মেলেনি বলে অভিযোগ। এখন পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, আগে ক্ষতিপূরণ মিলবে, তারপরই তাঁরা দেহ নিয়ে যাবে। পরিবারের অভিযোগ, “আমাদের এখানে ডেকে হ্যারাস করা হচ্ছে। ওটা তো বেওয়ারিশ দেহ নয়। সবই তো রয়েছে।” পরিবারের তরফে আরও অভিযোগ করা হচ্ছে, আপাতত ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যেতে বলা হচ্ছিল। তারপর বাকি টাকা নথিপত্রের প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর দু-তিন দিন পরে দেওয়া হবে বলে জানানো হচ্ছে। মৃতের ভাইয়ের বক্তব্য, ক্ষতিপূরণের টাকা এখনই লাগবে। নাহলে দেহ হাসপাতালেই পড়ে থাকবে।
পরিবারের এই অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্রের সঙ্গে। তিনি অবশ্য আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, মৃতের স্বামীর কাছে কোনও প্রামাণ্য নথি ছিল না। আমাদের তো প্রমাণ দরকার। নাহলে তো যে কেউ ক্লেম করে নিয়ে চলে যেতে পারে। সেই কাজটাই চলছে। ওখানে আমাদের পুরো টিম আছে।” ক্ষতিপূরণের টাকা পেতে কোনও সমস্যা হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।