Snatching Case in Burdwan: স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে মারধরের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার

Purba Burdwan: সৈকত মোল্লা ইটারু গ্রামের হোট্টে হোট্টে মাঝিপাড়া ক্যানেলের কালভার্টের আসার পরই দু'জন তাঁর পথ আটকায় বলে অভিযোগ ওঠে।

Snatching Case in Burdwan: স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে মারধরের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার
ব্যবসায়ী সৈকত মোল্লা। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 24, 2021 | 11:18 PM

পূর্ব বর্ধমান: ছিনতাইয়ের বাহাত্তর ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হল মূল অভিযুক্তদের। একই সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে হারানো সমস্ত সামগ্রী। পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে (Purba Burdwan) ছিনতাইয়ের কাণ্ডে বড়সড় সাফল্য পেল পুলিশ। ঘটনার বাহাত্তর ঘণ্টার মধ্যে এই ঘটনায় অভিযুক্ত-সহ খোয়া যাওয়া সমস্ত জিনিসপত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

গত ২০ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময় গলসির ভুঁড়ির হাইস্কুল এলাকার এক ব্যবসায়ী সৈকত মোল্লা দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন। ছালালপুরে তাঁর গ্রামের বাড়ি। বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন সৈকত। তাঁর সঙ্গে একটি ব্যাগ ছিল। তাতে প্রায় চার ভরি সোনার গয়না, কিছু রূপোর গয়না এবং নগদ ত্রিশ হাজার টাকা ছিল।

সৈকত মোল্লা ইটারু গ্রামের হোট্টে হোট্টে মাঝিপাড়া ক্যানেলের কালভার্টের আসার পরই দু’জন তাঁর পথ আটকায় বলে অভিযোগ ওঠে। এরপরই বেধড়ক মারধর করা হয় ওই ব্যবসায়ীকে। তাঁর সঙ্গে থাকা গয়না ও টাকা ব্যাগটিও ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপরই একটি চার চাকার গাড়িতে চেপে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনার ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই ছিনতাই হওয়া জিনিসপত্র উদ্ধারের পাশাপাশি এই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করল পুলিশ।

ঘটনার দিন তদন্তে নেমে রাতেই গলসির ছালালপুর গ্রাম থেকে ইব্রাহিম মল্লিক ওরফে রিপন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন তাঁকে হেফাজতে নিয়ে ডাকাতি চক্রের মূল দুই অভিযুক্তকে মুর্শিদাবাদের সালার থানা এলাকার একটি লজ থেকে গ্রেফতার করা হয়।

সেই রাতেই তাঁদের সঙ্গে সেখানকার আরও দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের নাম মহম্মদ আলি শেখ ওরফে কচি এবং জিয়ারুল শেখ, রতন শেখ এবং বিপ্লব কর্মকার। কচির বাড়ি গলসি থানার শশঙ্গা গ্রামে। ভাতার থানার বামসোর গ্রামের বাসিন্দা হলেন জিয়ারুল। এ ছাড়াও মুর্শিদাবাদ জেলার সালার থানা এলাকার বাসিন্দা রতন শেখ ও বিপ্লব কর্মকার। সেখানে বিপ্লবের একটি সোনার দোকান আছে। পুলিশ তাঁদের কাছ থেকে চার ভরি সোনা, আড়াই কেজি রূপোর গয়না এবং নগদ দু’লক্ষ সাতাত্তর হাজার টাকা উদ্ধার করে।

সৈকত মোল্লা বলেন, “আমার ছোট্ট একটা সোনার দোকান আছে। প্রতিদিনই আমি সেখান থেকে বাড়ি ফিরি ইটারু গ্রামের রাস্তা ধরে। সেদিন সাতটা দশ পনেরো নাগাদ আমি দোকান থেকে বেরিয়ে হোট্টে মাঝিপাড়া বলে একটা জায়গা আছে সেখানে আসতেই দু’জন গাড়ি নিয়ে এসে আমার বাইকে ধাক্কা মারে। ফেলে দেয় আমাকে। বন্দুক ধরে বলে কী আছে দে। প্রথমে ব্যাগটা আমি দিতে চাইনি। কাড়াকাড়ি, মারধর, মাটি ফেলে মার কিছু বাদ দেয়নি। আমাকে শ্বাসরোধ করে মারতে চেষ্টা করছিল। গুলি করতে যাচ্ছিল। তখনই ব্যাগটা এগিয়ে দিই। তারপরই পালিয়ে যায়।”

আরও পড়ুন: RG Kar Medical: সোমবার শুনানি, আরজি করের টালমাটাল পরিস্থিতি কি স্বাভাবিক হবে?