Burdwan Hooching: বিষমদ কাণ্ডে ফরেন্সিক দল বর্ধমানে, ‘অভিশপ্ত’ হোটেলে ঢুকে নমুনা সংগ্রহ করলেন তাঁরা
Burdwan Hooching:জানা গিয়েছে, ঘণ্টা দেড়েক ফরেন্সিক দলের দুই সদস্য ওই হোটেলে নমুনা সংগ্রহের পাশপাশি হোটেল মালিক গণেশ পাসওয়ানের বাড়িতেও ঢোকেন।
বর্ধমান: মদের মধ্যে বিষক্রিয়ার জের। শনিবার বর্ধমান থেকে একের এক মানুষের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসে। সেই ঘটনায় এবার ফরেন্সিক দল পৌঁছয় বর্ধমানে। যেই হোটেলে ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে ঢুকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন।
জানা গিয়েছে, ঘণ্টা দেড়েক ফরেন্সিক দলের দুই সদস্য ওই হোটেলে নমুনা সংগ্রহের পাশপাশি হোটেল মালিক গণেশ পাসওয়ানের বাড়িতেও ঢোকেন। তবে বাড়িতে তালা থাকার কারণে সেই তালা ভেঙেই ঘরে ঢোকেন তাঁরা। ফরেন্সিক দলের সঙ্গেই ছিলেন বর্ধমান থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তী। হোটেলে নমুনা সংগ্রহ করার সময় কিছুক্ষণের জন্য উপস্থিত ছিলেন ডিএসপি হেডকোয়ার্টার অতনু ঘোষাল।
এই বিষয়ে ফরেন্সিক দলের সদস্য ডঃ দেবাশীস সাহা বলেন, ‘নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। কিন্তু এর থেকে বেশী কিছু বলা যাবে না।’
বস্তুত, গত বৃহস্পতিবার রাতে বর্ধমান শহরে মদে বিষক্রিয়ার জেরে দুই জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। এরপর শুক্রবার সকাল হতে না হতে, সেই মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয় চার। ওইদিনই পরে আরও দুই জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। ঘটনার পর টনক নড়ে জেলা প্রশাসনেরও।
জেলা আবগারি দফতরের পুলিশ সুপার এনায়েত রাব্বি জানিয়েছেন, নমুনা সংগ্রহের পরে সরকারি ও বেসরকারি ল্যাবের যে প্রাথমিক রির্পোট পাওয়া গিয়েছে, তাতে অসঙ্গতি মেলেনি। অন্যদিকে আবগারি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, যে মদ নিয়ে অভিযোগ এসেছে, সেই ব্যাচের মদ আপাতত বিক্রি বন্ধ রাখা হয়েছে। এই ব্যাচের মদ দক্ষিণবঙ্গের আরও কয়েকটি জেলায় গিয়েছে বলেও খবর। সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেখানেও বন্ধ থাকবে এই মদ বিক্রি।
বর্ধমান বিষমদ কাণ্ডে এখনো পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে হোটেলের মালিক গণেশ পাসওয়ানকে।