AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Fraud Case: এমনও হয় কি? অ্যাকাউন্ট ‘ক্লোজ’ করার জন্য শয়ে শয়ে গ্রাহকদের ‘চাপ’ দিচ্ছে ব্যাঙ্কই!

Fraud Case: ওই গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই দিন আনা দিন খাওয়া। তাঁদের অনেকেই বেসরকারি ওই ব্যাঙ্কের নামই পর্যন্ত শোনেননি। অথচ তাঁদের নামেই অ্যাকাউন্ট। যে এটিএম কার্ডগুলি তাঁদের বাড়িতে এসেছে, সেখানে ভিন্ন ভিন্ন ছবি দেওয়া হয়েছে, তাঁদের নাম-ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে

Fraud Case: এমনও হয় কি? অ্যাকাউন্ট ‘ক্লোজ’ করার জন্য শয়ে শয়ে গ্রাহকদের 'চাপ' দিচ্ছে ব্যাঙ্কই!
ভূতুড়ে অ্যাকাউন্টের পাসবুক হাতে গ্রাহকরা!Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Dec 01, 2023 | 4:08 PM
Share

বর্ধমান: হঠাৎ বাড়িতে এসেছে ব্যাঙ্কের খাম। ভিতরে চকচক করছে নতুন এটিএম কার্ড। কিন্তু গ্রাহকই জানেন না অ্যাকাউন্টগুলোর কথা। পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষে ভূতুড়ে অ্যাকাউন্টের খবর প্রথম প্রকাশ্যে আনে TV9 বাংলা। এবার বেসরকারি সেই ব্যাঙ্কের তরফে অ্যাকাউন্টগুলো ‘ক্লোজ’ করতে বলা হচ্ছে গ্রাহকদের। কেন ওই অ্যাকাউন্টগুলো ক্লোজ করতে চাপ দিচ্ছে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ? কী লুকোতে চাইছেন বেসরকারি ব্যাঙ্কের বর্ধমানের সংশ্লিষ্ট সেই ব্রাঞ্চ? তাহলে কি নেপথ্যে কোনও বড় কারসাজি? বিষয়টি জানানো হয়েছে জেলাশাসক, এসপি, এসডিও, বিডিওকে। কিন্তু এখনও কোনও পদক্ষেপও করা হয়নি বলে অভিযোগ।

ওই গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই দিন আনা দিন খাওয়া। তাঁদের অনেকেই বেসরকারি ওই ব্যাঙ্কের নামই পর্যন্ত শোনেননি। অথচ তাঁদের নামেই অ্যাকাউন্ট। যে এটিএম কার্ডগুলি তাঁদের বাড়িতে এসেছে, সেখানে ভিন্ন ভিন্ন ছবি দেওয়া হয়েছে, তাঁদের নাম-ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু গড়মিল রয়েছে ফোনম্বরে। কারণ যে নম্বরগুলি ব্যবহার করা হয়েছে, তার কোনও বাস্তবে অস্তিত্বই নেই।

গ্রামের মানুষ গোটা বিষয়টি নিয়ে এলাকার এক বাসিন্দাদের দিকে আঙুল তুলছেন। যদিও তিনি বর্তমানে মৃত। তাঁদের বক্তব্য, সমিতির নাম করে বর্ধমান শহরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁদের টিপ সই নিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার কথা বলা হয়েছিল। পরে যখন তাঁঁরা জানতে চান, ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট কি তৈরি হয়েছে? তখন তাঁদের ওই ব্যক্তি বলেছিলেন, অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, সেই অ্যাকাউন্টগুলি বহু টাকার লেনদেন হয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরেই ব্যাঙ্ক প্রশাসন থেকে শুরু করে প্রশাসনকেও চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। এখন সেই সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের তরফে অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, বিষয়টি জানেন। এখনও পুরোটা স্পষ্ট নয়। পুরোটাই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে জানানো হয়, লিখিত অভিযোগ জানাতে। সেটাই জানান গ্রামবাসীরা। তারপরও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ। ব্যাঙ্কের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট কোনও উত্তর দেওয়া হচ্ছে না।