Purba Burdwan: মিড-ডে মিলের কয়েক লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন হেড টিচার! অভিযোগ আরেক শিক্ষকের

Corruption: ফের বির্তকে নাম জড়াল বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল বয়েজ হাই স্কুলের। এবার মিড-ডে মিল (Mid-Day Meal) ও স্কুলের আর্থিক অনুদানের টাকা তছরুপের অভিযোগ অভিযুক্ত হলেন সেকেন্ডারি বিভাগের প্রধান শিক্ষক।

Purba Burdwan: মিড-ডে মিলের কয়েক লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন হেড টিচার! অভিযোগ আরেক শিক্ষকের
স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 18, 2021 | 11:43 AM

পূর্ব বর্ধমান: ফের বির্তকে নাম জড়াল বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল বয়েজ হাই স্কুলের। এবার মিড- ডে মিল (Mid-Day Meal) ও স্কুলের আর্থিক অনুদানের টাকা তছরুপের অভিযোগ অভিযুক্ত হলেন সেকেন্ডারি বিভাগের প্রধান শিক্ষক। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে নামলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে জোর শোরগোল জেলার শিক্ষা মহলে।

জেলার স্বনামধন্য এই স্কুলে এই ধরনের অভিযোগ ওঠায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে প্রশাসনিক ও অভিভাবক মহলেও। এর আগেও স্কুলের একটি প্রাচীন গাছ কে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে ছিলেন স্কুলের প্রাথমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ পাল। তা পরবর্তী সময় থানা পর্যন্ত গড়িয়ে ছিল। এবার তিনিই অভিযোগ করলেন প্রাথমিক বিভাগের মিড- ডে মিলের টাকা ও স্কুলের আর্থিক অনুদানের টাকা তছরুপের। আর সেই অভিযোগ উঠেছে সেকেন্ডারি বিভাগের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে তিনি শিক্ষা দফতরের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।

যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন সেকেন্ডারি বিভাগের প্রধান শিক্ষক ডঃ শম্ভুনাথ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করার পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী স্কুলের গরিমা নষ্ট করার চক্রান্ত হচ্ছে। আগেও বিভিন্ন রকমের অভিযোগ তুললেও তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। তদন্তকারী আধিকারিকদের কাছে এ বিষয়ে যা বলার বলে দিয়েছি।” কিন্তু কেন এমন অভিযোগ করবেন তাঁর স্কুলেরই শিক্ষক এর কোনও সদুত্তর মেলেনি।

প্রাথমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ পালের অভিযোগ, স্কুলের তহবিল থেকে লক্ষধিক টাকা আত্মসাৎ করেছেন উনি। তাঁর অভিযোগের আঙুল ডঃ শম্ভুনাথ চক্রবর্তীর দিকে। জেলা প্রশাসনের কাছে এই আর্থিক দুর্নীতির সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। শহর তথা জেলার স্বনামধন্য স্কুলের বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

স্কুলেরই ওই শিক্ষকের অভিযোগ, “আজকের নয়। দীর্ঘদিন ধরে ছিল অভিযোগ ছিল। আমি যোগদানের পর কিছু অবৈধ ক্রিয়াকলাপ চোখে পড়ে। অভিভাবকদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা অনুদান হিসাবে নেওয়া হয়। সেই টাকা ব্যয় হয় না ঠিকভাবে। সেই টাকা একটা গোষ্ঠীর হাতে তছরুপ হয়।” এখানে শেষ নয়।

আরও পড়ুন: Delhi Air Pollution: ‘অতি খারাপ’ পর্যায়েই দিল্লির বাতাস, দূষণ রুখতে হরিয়ানাতেও চালু ‘জোড়-বিজোড়ে’র নিয়ম

তিনি আরও যোগ করেন, “মিড ডে মিলের টাকা তছরুপ হয়েছে। সেটা সেকেন্ডারি প্রধান শিক্ষক কখনও নিজের নামে, কখনও অধস্তন কর্মচারীর নামে টাকতাগুলো তুলে আত্মসাৎ করেছেন। যেটা একজন আধিকারিক পারেন না। কী করে উনি পারলেন, আমার কাছে এর কোনও উত্তর নেই।” তাঁর সংযুক্তি, এমন দুর্নীতি যেন আর কোনও বিদ্যালয়ে না হয়।

আরও পড়ুন: Mystery Death: মাটিতে পড়ে বিষের শিশি, পায়ে লোহার বেড়ি, লিচু গাছে পাশাপাশি ঝুলছে যুবক ও যুবতীর দেহ!