‘দুধের নাতিটা সমানে কাঁদছিল, কোলে নিয়ে ছেলের ঘরে গিয়ে দেখি ওরা ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে’

জয়ন্তের বাবার কথায়, আড়াই বছর বিয়ে হয়েছে। ছেলে-বউমার (Couple Suicide) মধ্যে অশান্তি দেখেননি।

'দুধের নাতিটা সমানে কাঁদছিল, কোলে নিয়ে ছেলের ঘরে গিয়ে দেখি ওরা ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে'
নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Apr 30, 2021 | 8:00 PM

পূর্ব বর্ধমান: ঘরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে মা-বাবার নিথর দেহ। নাগাড়ে কেঁদে চলেছে একরত্তি সন্তান। শুক্রবার কালনার মন্তেশ্বরে উড়েপাড়া থেকে উদ্ধার হল এক দম্পতির ঝুলন্ত দেহ। পারিবারিক অশান্তির কারণেই এই ঘটনা বলে মনে করছেন পরিবারের লোকজন।

উড়েপাড়ার দম্পতি জয়ন্ত বাগ ও পায়েল বাগ। এদিন সকালে তাঁদের ঘর থেকেই উদ্ধার হয় ঝুলন্ত দেহ। জয়ন্তের বাবা কুশ বাগ জানান, “সকালে ছেলে ও বউমার মধ্যে ব্যবসার কাজে বেরোনো নিয়ে ঝামেলা হয়। ছেলের শরীরটা ভাল ছিল না। বলছিল, বেরোবে না। এরইমধ্যে বউমা চা করতে যায়। আমিও বাজারে বের হই। ঘুরে এসে দেখি নাতিটা কাঁদছে। কোলে নিয়ে ঘরে ঢুকে দেখি দু’জনই একই দড়িতে ঝুলছে।”

প্রায় আড়াই বছরের দাম্পত্য জীবন জয়ন্ত-পায়েলের। জয়ন্তের বাবার কথায়, এমনি কখনও ছেলে-বউমার মধ্যে অশান্তি দেখেননি। এদিনই কাজে বেরোনো নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। কিন্তু তার জেরে এত বড় ঘটনা ঘটে যাবে বিশ্বাসই করতে পারছেন না তিনি।

আরও পড়ুন: দুর্গন্ধে টিকতে পারছিলেন না পড়শিরা, গোয়ালঘরের মাচা থেকে বস্তা নামাতেই আঁতকে উঠলেন স্থানীয়রা

পরিবারের অনুমান বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কেউ একজন প্রথমে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন। তা দেখে অন্যজনও ঝুলে পড়েন। এরপরই চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ছুটে আসেন পাড়ার লোকজন। মন্তেশ্বর হাসপাতালে দম্পতিকে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিনই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দেহগুলি ময়না তদন্ত করা হবে। ঘটনা খতিয়ে দেখছে মন্তেশ্বর থানার পুলিশ।