‘কে কী বলছি সব নজরে রাখছে তালিবানরা!’ কাবুল ফেরত কাটোয়ার যুবকের চিন্তা বাকি সঙ্গীদের নিয়ে
Taliban: "ভারতে এসে কে কী বলছে তালিবান (Taliban) নেতারা সেটা ফলো করছে। আর তালিবানরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেনি।''
কাটোয়া: “ফিরে এসে খুব ভাল লাগছে। বিলকুল টেনশন নেই। শেষ ১০ দিন যে আতঙ্ক আশঙ্কা ছিল পরিবারের সবাইকে পেয়ে খুব ভাল লাগছে।” তবু আফগানিস্তানে কেমন কেটেছে ওই ১০ দিন তা নিয়ে বিশেষ কিছু বলতে চান না কাবুল (Kabul) ফেরত চন্দন নন্দী। তাঁর সাফ কথা, “ভারতে এসে কে কী বলছে তালিবান (Taliban) নেতারা সেটা ফলো করছে। আর তালিবানরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেনি। তাই আমরা যদি তালিবানদের সম্পর্কে খারাপ কিছু বলি, তালিবানরা রেগে যেতে পারে।”
কাবুল থেকে কাটোয়া। বাড়ি থেকে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে রুজিরুটির খোঁজে চলে যেতে হয়েছিল ডেনমার্ক দূতাবাসের বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষী চন্দন নন্দীর। এখন ফিরে এসেছেন বাড়িতে। একে বরাত জোর বলে মনে করছেন যুবক। কেমন ছিল গত কয়েকদিনে তালিবান ‘শাসনে’ থাকার অভিজ্ঞতা? প্রশ্নে কিছুটা যেন তিনি অপ্রস্তুত। না, পুরোপুরি সত্যিটা বলতে চান না চন্দন। তবে তিনি জানাচ্ছেন, তাঁর সঙ্গে তালিবানরা খারাপ ব্যবহার করেনি। তবে এটাও ঠিক যে তিনি যে সব দেখেছেন, তা বিস্তারিত বলতে পারবেন না। কারণ, তাঁর দাবি, দেশে ফিরে তাদের সম্পর্কে কে কী বলছে, সে সব নজরে রাখছে তালিবানরা। এখানে যদি তালিবানদের নিয়ে কিছু কথা বলেন, তবে ও দেশে আটকে থাকা ভারতীয়দের উপর তার প্রভাব পড়তেই পারে। এমনই আশঙ্কা কাবুল ফেরত কাটোয়ার যুবকের।
কাটোয়ার গফুলিয়ায় বাড়ি ৪৪ বছরের চন্দন নন্দী। আফগানিস্তানের কাবুলে ডেনমার্কে দূতাবাসের বেসরকারি নিরাপত্তা বাহিনী চাকরি করতেন তিনি। তালিবানরা আফগানিস্তানরা তালিবান দখল করার পরে গত ১৭ অগস্ট বিমানে চড়ে কবুল থেকে দিল্লিতে ফেরেন। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাতে কাটোয়ার নিজের বাড়িতে এসে যেন হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন তিনি। দেশে ফেরার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী ছিলেন বটে। কিন্তু এক একেক সময় মনে হয়েছে হয়ত ফিরতে পারবেন না। যদি অপহরণ হয়ে যান। এমনই জানাচ্ছেন চন্দন নিজে। ছেলেকে ফিরে পেয়ে খুশি পরিবারের সদস্য থেকে গ্রামবাসীরা।
নিজের বাড়িতে আসতে পেরে এখন চন্দন নন্দী নিশ্চিন্ত বটে, তবে তাঁর চিন্তা সে দেশে থাকা ভারতীয়দের নিয়ে। বলছেন, ‘একটাই চিন্তা যে সব ভারতীয়রা এখন আফগানিস্থানে আটকে আছে তাদের নিয়ে।’ চন্দনবাবু কাবুলের কথা বলতে গিয়ে বলেন, “তালিবানরা কোনও খারাপ ব্যবহার করেনি। সেটা স্বীকার করতে হবে। আর আমরা এসে যদি বলি তালিবানরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে, তাহলে তার ফল ভালো হবে না। কারণ, তালিবানের নেতারা সব সময় ফলো করছে, তাদের সম্পর্কে কে কী বলছে। তাদের সম্পর্কে ভুল বার্তা দিলে তারা রেগে গিয়ে আফগানিস্থানে থাকা ভারতীয়দের ক্ষতি করতে পারে।” আরও পড়ুন: বাবরি মসজিদ ভাঙার ‘প্রতিশোধ’ নিতে চায় তালিবান-সমর্থক বাংলাদেশি!