Siddiqullah Chowdhury: বাথরুমে পড়ে গিয়ে পায়ে চোট, X-Ray করাতে গিয়েও হাসপাতাল থেকে ফিরতে হল মন্ত্রীকে
Siddiqullah Chowdhury: রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে প্রায়শই নানা অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। কিছুদিন আগেই কলকাতার নামজাদা সরকারি হাসপাতাল এসএসকেএমের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজনৈতিক মহলে।
বর্ধমান: মঙ্গলবার সকালে শৌচাগার থেকে বের হওয়ার সময় পড়ে গিয়েছিলেন। চোটও পান। আঘাত লাগে পায়ে। সন্ধ্যা থেকেই প্রচণ্ড ব্যথা। ছুটলেন মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে। দেখা মাত্রই চিকিৎসকেরা এক্স-রে এর কথা বলেন। কিন্তু, রাতে হাসপাতালে এক্স-রে করাতে গিয়ে জানতে পারেন তা হবে না। জানানো হয় হাসপাতালে ওপিডি-র সময় এক্স-রে হলেও রাতে এক্স-রে করার কোনও ব্যবস্থা নেই। তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করতে দেখা যায় তাঁকে। সাফ বলেন, এতবড় হাসপাতালে রাতে এক্স-রে হয় না আমার জানা ছিল না।
এদিকে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে প্রায়শই নানা অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। কিছুদিন আগেই কলকাতার নামজাদা সরকারি হাসপাতাল এসএসকেএমের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। এবার সিদ্দিকুল্লা উষ্মা প্রকাশ করতেই সুযোগ পেয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। তোপ দেগেছে পদ্ম শিবির।
কড়া আক্রমণ শানিয়ে বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, “রাজ্যের মন্ত্রীরই এক্স-রে হাসপাতালে হচ্ছে না। ফিরে যেতে হচ্ছে। সেখানে সাধারণ মানুষের কি হাল হয় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও শুরুতে উষ্মা প্রকাশ করলেও ফিরে যাওয়ার সময় আবার সিদ্দিকুল্লা বলেন, আমি চেষ্টা করবো যাতে মানুষের সুবিধার্থে রাতেও এক্স-রে করার ব্যবস্থা করা যায়। রাজ্যে ৪২টি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল আছে। ডাক্তারেরা ভাল পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।”