Purba Bardhaman death: বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে প্রৌঢ়ার মৃত্য, ভাঙচুর বিদ্যুৎ দফতরের গাড়ি

Purba Bardhaman: মাঠের মধ্যে একটি বিদ্যুতের তার কাটা অবস্থায় পড়েছিল। তাতেই জড়িয়ে মৃত্যু হয় ওই মহিলার। এদিকে মাকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন তাঁর ছেলে রাহুল দাসও। যুবককে উদ্ধার করে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে চিকিৎসার জন্য।

Purba Bardhaman death: বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে প্রৌঢ়ার মৃত্য, ভাঙচুর বিদ্যুৎ দফতরের গাড়ি
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 22, 2022 | 11:35 PM

বর্ধমান : মাঠ থেকে শাক-সবজি তুলে বাজারে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করতেন বছর পঞ্চাশের প্রৌঢ়া আশা দাস। অন্যান্য দিনের মতো সোমবারও গিয়েছিলেন মাঠে। শাক-সবজি তোলার জন্য। কিন্তু অনেকটা সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও বাড়ি ফেরেন না প্রৌঢ়া। খোঁজাখুজি শুরু হয়। যে মাঠে তিনি শাক-সবজি তুলতে গিয়েছিলেন, সেখানেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। সোমবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের হাটগোবিন্দপুরের রামনগরে। মাঠের মধ্যে একটি বিদ্যুতের তার কাটা অবস্থায় পড়েছিল। তাতেই জড়িয়ে মৃত্যু হয় ওই মহিলার। এদিকে মাকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন তাঁর ছেলে রাহুল দাসও। যুবককে উদ্ধার করে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে চিকিৎসার জন্য। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই যুবক।

এদিকে আশা দাসের মৃত্যুর পর থেকেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। উত্তেজিত জনতা কালনা রাজ্যসড়ক অবরোধ করে। ভাঙচুর, অবরোধে আরও তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছায় স্থানীয় থানার পুলিশ। এদিকে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে পুলিশকর্মীদের সঙ্গেও একপ্রস্থ ধাক্কাধাক্কি হয় উত্তেজিত স্থানীয় বাসিন্দাদের। এদিকে ওই সময়েই এলাকা দিয়ে বিদ্যুৎ দফতরের একটি গাড়ি যাচ্ছিল। সেই গাড়িটিকেও আটকে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। গাড়ির চালককেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

জানা গিয়েছে, ওই বিদ্যুতের তারটি দীর্ঘদিন ধরেই ঝুলছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে বিষয়টি নিয়ে বিদ্যুৎ দফতরের কাছে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগও জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারপরও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। সোমবার বিকেলে প্রৌঢ়ার যে মর্মান্তিক পরিণতি ঘটেছে, তার জন্য বিদ্যুৎ দফতরকেই দায়ী করছেন স্থানীয়দের একাংশ। ঘটনার প্রতিবাদে রাতে রামনগর এলাকায় বর্ধমান-কালনা রাজ্যসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। পরে পুলিশের তৎপরতায় প্রায় আড়াই ঘণ্টা পরে অবরোধ তুলে নেন স্থানীয়রা। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক অতীতে কলকাতা শহর ও শহরতলি এলাকায় একাধিক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তারপর পূর্ব বর্ধমানের এই ঘটনায় ফের শোরগোল পড়ে গিয়েছে।