Life Imprisonment: কালনায় পণের দাবিতে স্ত্রীকে মাথা থেঁতলে খুন, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড স্বামীর
Kalna: যাবতীয় সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্ত স্বামী নীলু বাগকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করলেন কালনা আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক সুধীর কুমার।
কালনা : বছর পাঁচেক আগের ঘটনা। ২০১৭ সাল। অগস্ট মাস। স্ত্রীকে মাথা থেঁতলে খুনের অভিযোগ উঠছিল স্বামীর বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামীকে মঙ্গলবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করল কালনা আদালত। ঘটনাটি ঘটেছিল পূর্ব বর্ধমানের কালনার সিঙেরকোন এলাকার আনোকা গ্রামে। অভিযোগ ছিল, পণের দাবিতে স্ত্রীকে মারধর করেছিল ওই ব্যক্তি। নোড়া দিয়ে স্ত্রীর মাথা থেঁতলে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল নীলু বাগ নামে মৃতার স্বামীর বিরুদ্ধে। পিয়ালি সাঁতরা নামে ওই গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর বাবা মানিক সাঁতরা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল নীলুকে। মামলা চলছিল কালনা আদালতে। ওই মামলায় যাবতীয় সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্ত স্বামী নীলু বাগকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করলেন কালনা আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক সুধীর কুমার।
জানা গিয়েছে, বিয়ের পর থেকে স্ত্রী পিয়ালি সাঁতরার উপর অত্যাচার চালাত আসামী নীলু বাগ। পণের জন্য বিভিন্নরকমভাবে জোর করত স্ত্রীর উপর। মারধর চলত। জানা গিয়েছে, স্ত্রীকে খুনের আগের দিন পণের জন্য টাকা আনতে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছিল নীলু বাগ। কিন্তু শূন্য হাতে আবার শ্বশুরবাড়ি ফিরে এসেছিলেন পিয়ালি। সেই রাগেই টাকা না পেয়ে চরম সিদ্ধান্ত নেয় নীলু। ওই রাতেই স্ত্রীকে আবার মারধর শুরু করে আসামী নীলু বাগ। তখনই নোড়া দিয়ে মাথায় মেরে, থেঁতলে পিয়ালিকে খুন করে তাঁর স্বামী। ঘটনার পরই মৃতার বাবা মানিক সাঁতরা কালনা থানার পুলিশের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ জানান। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেফতার করে নীলু বাগকে।
২০১৭ সালে গ্রেফতার করা হয়েছিল নীলু বাগকে। সংশোধনাগারে রেখেই এতদিন ধরে বিচার চলছিল অভিযুক্ত স্বামীর। দীর্ঘদিন ধরে চলে শুনানি পর্ব। কালনা থানার তৎকালীন আইও শরিফুল ইসলাম সহ মোট পনেরো জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় আদালতে। দীর্ঘ শুনানি শেষে মঙ্গলবার তার সাজা ঘোষণা করে আদালত। পিয়ালির স্বামী নীলু বাগকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেন কালনা আদালতের বিচারক সুধীর কুমার।