PM Narendra Modi: মকর সংক্রান্তিতে বাংলার বাজারে দেদার বিকোচ্ছে ‘মোদীর ঘুড়ি’
PM Narendra Modi: ২০২৪ আসতেই লোকসভা ভোটের পালেও হাওয়া লেগেছে। সেই হাওয়াতে এবার ঘুড়ির মুখ খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদী। বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, এবারের ঘুড়ি উৎসবে বাজার কাঁপাচ্ছে এই 'মোদী-ঘুড়ি'। দোকানে দোকানে মিলছে প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেওয়া ঘুড়ি। ছবির সঙ্গে লেখা, 'বিজেপি মিশন ২০২৪'।
বর্ধমান: আজ মকর সংক্রান্তি। দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই দিনটি পালিত হয় মহাধুমধামে। বাঙালির ঘরে-ঘরে যেমন তৈরি হয় পুলি পিঠে। তেমনই আকাশে ওড়ে ঘুড়ি। আর বর্ধমান শহরের ঘুড়ির উৎসবে এবার বাজার কাপাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘুড়ি।
রাজ আমল থেকে পৌষ সংক্রান্তিতে ঘুড়ি ওড়ানোর চল রয়েছে শহর বর্ধমানে। উত্তরে হাওয়া বইতেই শহরের আকাশের দখল নিয়েছে রঙবেরঙের ঘুড়ি। শহরের ইদিলপুর কাঠগোলা ঘাট, সদরঘাটের মাঘি মেলা,বাহির সর্বমঙ্গলা পাড়া সহ বিভিন্ন জায়গায় হয় ঘুড়ি উৎসব বা ঘুড়ির মেলা। রাজার আমলের এই রীতি চলে আসছে। আজও তার অন্যথা হয়নি। এবারেও মেলা ঘিরে শহরের তেঁতুলতলা বাজার, বড়বাজার, জেলখানা মোড়, বোরহাট, লাকুর্ডি সহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুড়ি এবং মাঞ্জা সুতোর পসরা সাজিয়ে বসেছেন ঘুড়ি ব্যবসায়ীরা।
২০২৪ আসতেই লোকসভা ভোটের পালেও হাওয়া লেগেছে। সেই হাওয়াতে এবার ঘুড়ির মুখ খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদী। বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, এবারের ঘুড়ি উৎসবে বাজার কাঁপাচ্ছে এই ‘মোদী-ঘুড়ি’। দোকানে দোকানে মিলছে প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেওয়া ঘুড়ি। ছবির সঙ্গে লেখা, ‘বিজেপি মিশন ২০২৪’।
হঠাৎ করে এই ঘুড়ি আনার কারণ কী? দোকানদারের দাবি, তাঁরা আলাদা করে এই ঘুড়ির অর্ডার দেননি। পাইকারি দরে ঘুড়ির লাট যখন এসেছে তারমধ্যেই এসেছে এই ঘুড়ি। সেই ঘুড়িই তাঁরা বিক্রি করছেন। তাঁদের দাবি, কাগজের বা প্লাস্টিকের ঘুড়ির পাশাপাশি ‘মোদী ঘুড়ির’ চাহিদাও যথেষ্ট রয়েছে। তবে,এই ঘুড়ি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা। বিজেপির যুব মোর্চার সদস্য অনীশ দাস বলেন,”বাস্তবে আকাশে বাতাসে মোদীজীর নাম ভাসছে। এটা তো ট্রেলার মাত্র। আগামী লোকসভা নির্বাচনে মোদীজীর সব বিরোধীদের ভোকাট্টা করে দেবে।” যদিও, রাজ্য তৃণমূলের মুখপত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন,”মানুষের মনে মমতা। তাই ঘুড়ি দিয়ে কিচ্ছু হবে না। গত বিধানসভার মত লোকসভায়ও বিজেপি আর মোদীকে ভোকাট্টা করবে মানুষ।” জেলা সিপিএমের সম্পাদক মন্ডলির সদ্যস্য তাপস রায় বলেন,”এখন বিভিন্ন উৎসবকে রাজনৈতিক রঙে রাঙানো হচ্ছে, এটা হাস্যকর।”