Howrah Businessman Murder: সাদা রঙের চারচাকা গাড়িটি দেখেছিলেন চা-ওয়ালা, ব্যবসায়ী-হত্যাকাণ্ডে নয়া সূত্র!

Crime: সোমবার রায়না থানার পুলিশ মূল অভিযুক্ত জানিসার আলম ওরফে রিকিকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। সূত্রের খবর, পুলিশের সামনে গোটা ঘটনার কথা স্বীকার করে কান্নায় ভেঙে পড়েন রিকি।

Howrah Businessman Murder: সাদা রঙের চারচাকা গাড়িটি দেখেছিলেন চা-ওয়ালা, ব্যবসায়ী-হত্যাকাণ্ডে নয়া সূত্র!
হাওড়া ব্যবসায়ী খুনে গ্রেফতার আরও এক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 10, 2021 | 7:06 AM

পূর্ব বর্ধমান: ব্যবসায়ী সব্যসাচী মণ্ডলের খুনের (Howrah Businessman Murder Case)  ঘটনায় আরও খানিকটা অগ্রগতি পেল তদন্ত। মঙ্গলবার খুনের ঘটনায় সুপারি কিলারদের ব্য়বহৃত চারচাকা গাড়িটি উদ্ধার করল পুলিশ। হুগলি থেকে উদ্ধার হয় চারচাকাটি।

পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২২ অক্টোবর সব্যসাচীকে খুনের আগে রায়নার বালাগড় গ্রামে যায় রিকি ও তার সঙ্গীরা।  সেখানে চায়ের দোকানে তারা চা খায়। দোকানের মালিক রাজীব কাজী জানান, ওই দিন তিনি সাদা রঙের চারচাকা গাড়িটি দেখতে পান। সেই গাড়িতেই রিকি ও তার সঙ্গীরা এসেছিল। পরপর ৬ কাপ চা খায় তারা। তারপর গাড়ি ধরে চলে যায়। তদন্তকারীদের অনুমান, চায়ের দোকানেই  নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ব্লু-প্রিন্ট ছকে নেয় রিকি-রা।

সোমবার রায়না থানার পুলিশ মূল অভিযুক্ত জানিসার আলম ওরফে রিকিকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। সূত্রের খবর, পুলিশের সামনে গোটা ঘটনার কথা স্বীকার করে কান্নায় ভেঙে পড়েন রিকি। একই সঙ্গে তিনি নাকি জানান, গুলি সব্যসাচীর শরীরের লেগেছিল কি না সে ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত নন।

কীভাবে দেরিয়াপুরে গ্রামের বাড়িতে আসা সব্যসাচীকে পরিকল্পনা মাফিক খুন করা হয় তার বিবরণ দেন রিকি। তাঁকে নিয়ে গোটা ঘটনার পুনর্নির্মাণও করায় পুলিশ। এদিন মূল অভিযুক্ত জানিসার আলম ওরফে রিকিকে পুলিশ নিয়ে আসে সব্যসাচী মন্ডলের দেরিয়াপুরের বাড়িতে।

হাওড়ার ব্যবসায়ী সব্যসাচী মণ্ডলের খুনের ঘটনায় পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। তবে ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযুক্ত নিহতের কাকার ছেলেদের এখনও ধরা যায়নি। এ ছাড়াও ঘটনার দিন কালারাঘাট ব্রিজের সিসিটিভি ফুটেজ আসে পুলিশের হাতে। যা এই তদন্তে চাঞ্চল্যকর মোড় নিয়ে আসে।

এদিন দেরিয়াপুরে সব্যসাচী মণ্ডলের পৈতৃক বাড়িতে এসে প্রথমেই কান্নায় ভেঙে পড়েন অভিযুক্ত রিকি। রিকি জানান, ঘটনার দিন প্রথমে তাঁরা ঠাকুরদালানের কাছে এসে চাকু দেখিয়ে ড্রাইভারকে ভয় দেখান। তাঁর মোবাইল ফোনটিও কেড়ে নেন।

সব্যসাচীর গাড়ির চালক আনন্দ সাউকে বাধ্য করেন সব্যসাচীকে ডেকে আনতে। সব্যসাচী দোতলা থেকে নামার আগেই আততায়ীরা নিজের নিজের পজিশন নিয়ে তৈরি ছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এরপর সব্যসাচী ছাদ থেকে নেমে এলেই কোনও কিছু ভাবার আগেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালান রিকি বলে অভিযোগ।

সেই গুলি লেগেছে কি না তা রিকি বলতে পারেননি। এ সময় সব্যসাচী পালাতে যান। পালাতে গিয়ে সিঁড়ির মুখে পড়ে যান সব্যসাচী।  রিকি জানান, সে সময় তিনি আরও এক রাউন্ড গুলি চালান। এরপর সব্যসাচীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় সেখানেই পড়ে যান সব্যসাচী।

সেখানেই তাঁকে ওই অবস্থায় ফেলে চম্পট দেন রিকি ও তাঁর সঙ্গীরা। এ দিন গুলি চালানো ও কোপানোর কথা স্বীকার করেছেন রিকি, পুলিশ সূত্রে এমনটাই খবর। তাঁকে এদিন ভেঙে পড়তে দেখা যায়। তদন্তে রায়না থানার পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে ছিলেন রায়না থানার ওসি পুলক মণ্ডল।

পুলিশ সূত্রে খবর, জেরার মুখে রিকি জানিয়েছেন, তাঁকে ৫০ লক্ষ টাকায় ঠিক করেছিলেন সব্যসাচীর ছোট কাকার ছেলে সোমনাথ মণ্ডল। এর মধ্যে ২০ লক্ষ টাকা অগ্রিম দেওয়া হয়েছিল। বাকিটা পরে দেওয়ার কথা ছিল। পুলিশ জানতে পেরেছে, রিকিদের বাড়ি চেনান সোমনাথই।

হাতে কিছুটা সময় থানায় এরপর বলাগড়ে গিয়ে একটি চায়ের দোকানে চা খান। তদন্তকারীদের অনুমান, সেখানেই এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ব্লু প্রিন্ট ছকে নেন রিকি ও সঙ্গীরা। তবে ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযুক্ত নিহতের কাকার ছেলে সোমনাথ মণ্ডলকে এখনও ধরা যায়নি। তদন্তকারীদের অনুমান, সোমনাথ বিদেশে গা-ঢাকা দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।

আরও পড়ুন: Accident: ধেয়ে আসছিল বিপদ, মুহূর্তে ছিন্নভিন্ন ভিডিয়ো গেমে মত্ত ২ যুবকের দেহ!