National Highway: রাস্তায় পড়ে ছটফট করছে মেয়েটা! পাশেই কাটা হাত, রক্তে ভাসছে রাস্তা…

Road Accident: সূত্রের খবর, রাহুল গড়াই ও সেবতী ঘোষ দু'জনই গুসকরা কলেজের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া।

National Highway: রাস্তায় পড়ে ছটফট করছে মেয়েটা! পাশেই কাটা হাত, রক্তে ভাসছে রাস্তা...
পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু যুবতীর। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 25, 2022 | 11:17 PM

পূর্ব বর্ধমান: শুক্রবারের সন্ধ্যায় ভয়ঙ্কর পথদুর্ঘটনা প্রাণ কাড়ল এক কলেজ ছাত্রীর। টিউশন পড়ে বন্ধুর সঙ্গে বাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। বাইকে ধাক্কা মারে বালি বোঝাই একটি ডাম্পার। স্থানীয়রা জানান, এই যুবতী ছিটকে গিয়ে রাস্তায় পড়েন। একটি হাত কেটে পড়ে যায় রাস্তায়। এরপর ডাম্পারের চাকাটিই টেনে হিঁচড়ে আরও কিছুটা নিয়ে যায় ওই যুবতীকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের গোবিন্দপুরের কাছে জাতীয় সড়কের (টু বি) উপর দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৃতের নাম সেবতী ঘোষ (১৮)। মঙ্গলকোটের উনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। দুর্ঘটনায় জখম সেবতীর সহপাঠী রাহুল গড়াই। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকার লোকজনের অভিযোগ, সূর্য ডুবলে এই জাতীয় সড়ক ডাম্পারগুলির দখলে চলে যায়। অন্যান্য যাত্রীদের তখন প্রাণ হাতে করেই যাতায়াত করতে হয়। বারবার প্রশাসনকে বলা হলেও তারা কোনও পদক্ষেপ করে না বলেই দাবি এলাকার লোকজনের।

সূত্রের খবর, রাহুল গড়াই ও সেবতী ঘোষ দু’জনই গুসকরা কলেজের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। মঙ্গলকোটের পালিগ্রামের বাসিন্দা রাহুল একটি বাইকে সেবতীকে নিয়ে গুসকরা শহরে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে। রাহুল বাইক চালাচ্ছিলেন। গোবিন্দপুরের কাছে একটি সাইকেল আচমকা তাঁর বাইকের সামনে চলে আসে। সাইকেলের সঙ্গে বাইকের ধাক্কা লাগলে দু’জনই ছিটকে পড়ে যান। তখন ভেদিয়ার দিকে যাওয়া একটি লরি পিষে দেয় সেবতীকে। দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই যুবতীর। আহত রাহুলকে উদ্ধার করে গুসকরা হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রাই। পুলিশ ঘাতক গাড়িটি আটক করেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা নিজাম শেখ বলেন, “মেয়েটা আমাদের উনিয়াতে থাকে।বাবা পরমেশ্বর ঘোষ। ও টিউশন পড়তে গিয়েছিল। একটা মোটরসাইকেলে ফেরার সময় ডাম্পারে পিষে দেয়। একেবারে ছেঁচড়াতে ছেঁচড়াতে টেনে নিয়ে যায় লরির চাকা। বোলপুর থেকে লরিটা বর্ধমান রোডে যাচ্ছিল। মেয়েটা গুসকরা থেকে উনিয়ায় ফিরছিল। যে ছেলেটার সঙ্গে ছিল তার বাড়ি পালিগ্রামে।”

অপর এক এলাকাবাসী অরূপ মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “গোবিন্দপুরে শেফালি মেমোরিয়াল পলিটেকনিকের সামনে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। উনিয়ায় বাড়ি মেয়েটির। গুসকরা থেকে টিউশন পড়ে ফিরছিল। এমন ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ভাবাই যায় না। ডাম্পার এসে এমন ধাক্কা মারল মুহূর্তে মেয়েটা শেষ! একেবারে চাকায় পিষে দিয়েছে। এমনভাবে ধাক্কা লেগেছে একটা হাত কেটে বেরিয়ে গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে মারা যায় মেয়েটা।”

অরূপ মুখোপাধ্যায়েরই অভিযোগ, “যেভাবে এখানে গাড়ি চলে পুলিশ প্রশাসনের উচিৎ অবিলম্বে এর ব্যবস্থা করা। দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের অরাজকতা চলছে। সন্ধ্যার পর যাওয়া যায় না ডাম্পারগুলোর জন্য। এদিন যে ডাম্পারটিকে ধরা হয় তাতে বালি ভর্তি ছিল। মনে হয় অজয়ের বালি নিয়েই ফিরছিল। পুলিশ এসেছে এখন ঠিকই। কিন্তু এটা তো একদিনের বিষয় নয়। প্রশাসন কড়া না হলে কিছুই বদলাবে না। লরিটা ধরলেও চালক পালিয়েছে।”

 আরও পড়ুন: ইউক্রেনে আটকে বাঙালি পড়ুয়ারা, নবান্ন থেকে তিনজনের তথ্য গেল বিদেশমন্ত্রকে