Farmer: পাট চাষে লাভ নেই, গাঁদা ফুটিয়ে লাভের মুখ দেখছেন পূর্বস্থলীর চাষীরা

Burdwan: পূর্বস্থলীর চাষিদের ফোটানো গাঁদার বাহার গণেশ পুজো উপলক্ষে মহারাষ্ট্রে গিয়েছে। যাচ্ছে দিল্লি, নেপাল-সহ বিভিন্ন রাজ্য ও দেশে। সুশান্ত তপাদার ফি বছর পাট চাষ করেন। তিনি বলেন, "এতদিন পাট, তিল চাষ করেছি। তেমন লাভ পাইনি। এখন ফুল চাষ করছি। তাতে লাভ হচ্ছে ভালই।

Farmer: পাট চাষে লাভ নেই, গাঁদা ফুটিয়ে লাভের মুখ দেখছেন পূর্বস্থলীর চাষীরা
গাঁদা চাষ পূর্বস্থলীতে।Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 19, 2023 | 10:13 AM

কালনা: পাটচাষে লাভের বালাই নেই। এবার ফুল চাষ করে লাভের মুখ দেখতে চাইছেন কৃষকরা। গাঁদা ফুলের চাষ করছেন পূর্বস্থলীর ঝাউডাঙা হালতাচরা গ্রামের কৃষকেরা। পাট চাষ করলেও নদীতে জলের অভাবে পাট পচাতে পারছেন না। ফলে চরম ক্ষতির মুখে চাষিরা। এই অবস্থায় গাঁদা ফুল চাষ করে পুজোর আগে কিছুটা পয়সা হাতে আসছে তাঁদের।

পূর্বস্থলীর চাষিদের ফোটানো গাঁদার বাহার গণেশ পুজো উপলক্ষে মহারাষ্ট্রে গিয়েছে। যাচ্ছে দিল্লি, নেপাল-সহ বিভিন্ন রাজ্য ও দেশে। সুশান্ত তপাদার ফি বছর পাট চাষ করেন। তিনি বলেন, “এতদিন পাট, তিল চাষ করেছি। তেমন লাভ পাইনি। এখন ফুল চাষ করছি। তাতে লাভ হচ্ছে ভালই। বিশেষ করে কোনও উৎসব অনুষ্ঠানের মরসুম হলে ভালই চলে। ১০০-১৫০ টাকায় এক কুড়ি মালা। এলাকার বেশিরভাগ লোকজনই ফুলচাষ করছে। পাট, সর্ষেয় খুব ক্ষতি। নদীতে জল নেই। পাট চাষ করা তো যাবে বলে মনে হচ্ছে না। প্রচুর খরচ। মজুরদের খরচ দিতে হচ্ছে। ফলে চাষিদের একেবারেই ক্ষতি।”

তবে এই ফুলচাষে খাটনি প্রচুর, সে কথাও মানছেন তাঁরা। রাতের অন্ধকার থাকতে ঘুম থেকে উঠে মাঠে যেতে হয়। রাত ২টোয়ও মাঠে চলে যান তাঁরা। তবে সুশান্তর মতোই গৌরাঙ্গ মজুমদারও বলছেন, লাভের কিছু টাকা চোখে দেখা যায়, এটাই প্রাপ্তি। বিঘা প্রতি যেখানে ২০-২৫ হাজার খরচ হয়। ভাল বাজার পেলে বিঘা প্রতি ৭০ হাজার টাকা অবধিও পাওয়া যায়।

কৃষক গৌরাঙ্গ মজুমদার বলেন, “পাট বিঘা প্রতি ৩ কুইন্ট্যাল সাড়ে ৩ কুইন্ট্যাল হয়। সাড়ে ৩ হাজার টাকা দাম। অথচ ১ বিঘা পাট তৈরি করতে ১৮-২০ হাজার টাকা খরচ হয়। এবার তো পাট চাষ করে খুব ক্ষতি হয়েছে। পাট বিক্রি করলে ১৫-১৬ হাজার টাকা পাব। তাই ফুল চাষ করছি।”

পাট চাষের জন্য প্রয়োজনীয় বৃষ্টির জলের অভাব রয়েছে। সেই সঙ্গে সমস্যা পাট জাক দেওয়ার উপযুক্ত জলাশয়ের। গত কয়েক বছর ধরেই হালতাচরা গ্রামের অধিকাংশ কৃষক পাট চাষ করে আর্থিক লোকসান ও ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এবার তাঁরা বিকল্প চাষে ঝুঁকেছেন। শীতকালীন গাঁদা ফুল বারো মাস চাষ শুরু করেছেন এই এলাকার চাষীরা।