Ration Dealer Arrest: অন্ধকারের মধ্যে জ্বলছিল কেবল গাড়ির হেডলাইট, পিছন থেকে ঝপ ঝপ উঠছিল বস্তা, পুলিশ আসতেই রেশন ডিলারের কীর্তি ফাঁস
Ration Dealer Arrest: পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাতারের কুবাজপুর বাসস্ট্যাণ্ডে দোকান রয়েছে সালামের। দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে রেশন সামগ্রী ক্রয় বিক্রয়ের কারবার চালাতে সে।
পূর্ব বর্ধমান: আগেও একই অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন। জেলও খেটেছিলেন বেশ কয়েকদিন। তারপর জামিনে মুক্ত হন। কিন্তু তারপরও সেই একই দোষে দুষ্ট। বাড়ির সামনে দাঁড় করানো ছিল গাড়ি। তখন অনেকটা রাত। গাড়ির হেড লাইট জ্বলছিল। কিন্তু পুলিশ আরও দুটো অতিরিক্ত চোখ রেখে দিয়েছিল রেশন ডিলারের ওপর নজরদারির জন্য। গাড়িতে বস্তা তুলতেই ফোন চলে যায় থানায়। তৎক্ষণাৎ হাজির হয় পুলিশ। গাড়ি তখন সবেমাত্র বস্তাভর্তি হয়েছে। চালক স্টিয়ারিং ধরার আগেই খপাৎ করে তাঁর হাত ধরল পুলিশ। সঙ্গে রেশন ডিলারকেও। বেআইনিভাবে পাচারের সময় গাড়িভর্তি রেশন সামগ্রী-সহ পাচারকারিদের গ্রেফতার করল পুলিশ। পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের কুবাজপুর এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম শেখ সালাম ও শেখ হাসিবর। বাড়ি ভাতারের বিজিপুর এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাতারের কুবাজপুর বাসস্ট্যাণ্ডে দোকান রয়েছে সালামের। দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে রেশন সামগ্রী ক্রয় বিক্রয়ের কারবার চালাতে সে। কয়েক মাস আগেও তাঁর দোকান থেকে বিপুল পরিমাণ রেশন দ্রব্য উদ্ধার করেছিল পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও রুজু হয়েছিল এর আগে।
বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত ছিলেন। আবারও পুলিশের চোখে ফাঁকি দিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় বিপুল পরিমাণ রেশন দ্রব্য পাচার চক্র চালাচ্ছিলেন সালাম। গোপন সূত্রে খবর আসে পুলিশের কাছে। ভাতার থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে গাড়ি ভর্তি ১৩৫ বস্তা গম-সহ সালাম ও হাসিবুরকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলার রুজু করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সালামকে হেফাজতে আবেদন জানিয়ে দুজনকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়।
ভাতার থানার ওসি অরুন কুমার সোম জানিয়েছেন, বিপুল পরিমাণ রেশনদ্রব্য কীভাবে সংগ্রহ করেছেন তিনি এবং ওই রেশনদ্রব্য কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে ধৃত সালামকে হেফাজতের আবেদন জানান তদন্তকারীরা।