WB Panchayat Election 2023: ‘রাজনৈতিক আলোচনা করবেন না’, পঞ্চায়েত ভোটের আবহে পোস্টার চায়ের দোকানে

প্রতিদিন ভোর থেকে শুরু হয়ে জীবিকার জন্য বৃদ্ধ দম্পতির যুদ্ধ চলে প্রায় রাত ১০টা পর্যন্ত। চায়ের দোকানে সকাল থেকে ভিড় জমান বিভিন্ন মানুষজন। আলোচনার মাঝে, কথার ফাঁকে চলে আসে রাজনৈতিক প্রসঙ্গ। এ ছাড়াও চায়ের দোকানে চলে বিভিন্ন রকমের আলোচনা। খেলাধুলা থেকে রাজনীতি কিছুই বাদ যায় না।

WB Panchayat Election 2023: ‘রাজনৈতিক আলোচনা করবেন না’, পঞ্চায়েত ভোটের আবহে পোস্টার চায়ের দোকানে
বড়শুলে জেঠুর চায়ের দোকান
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 19, 2023 | 10:06 AM

বড়শুল: দিনক্ষণ ঘোষণার পর পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বও শেষ হয়েছে। ভোটের আঁচ ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে। রাজনৈতিক আলোচনা, বাক বিতণ্ডায় উত্তপ্ত হচ্ছে চায়ের দোকান থেকে পাড়ার রক। এই আবহেই পূর্ব বর্ধমানের বড়শুল বাজারে একটি পোস্টার ঘিরে শুরু হয়েছে আলোচনা। সেখানকার একটি জনপ্রিয় চায়ের দোকানের সামনে টাঙানো হয়েছে ওই পোস্টার। সেই পোস্টারে লেখা- “নির্বাচনের দিনক্ষণ চুড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। আপনাদের কাছে অনুরোধ করা হচ্ছে, দোকানে রাজনৈতিক আলোচনা করিবেন না।” তবে এই ধরনের পোস্টার এই প্রথম নয়। এর আগে বিধানসভা ভোটের সময়ও এই ধরনের পোস্টার দেখা গিয়েছিল ওই চায়ের দোকানে।

বড়শুলের পুরনো বাসস্ট্যাণ্ডে জেঠুর চায়ের দোকান এলাকার মানুষের কাছে অতি পরিচিত। ব্লক অফিস চত্বরে জেঠুর চায়ের দোকান চেনে না এমন মানুষ পাওয়া কঠিন। ৪০ বছরেরও বেশী সময় ধরে চায়ের দোকান করে জীবিকা নির্বাহ করছেন ৭০ বছরের দুর্জয় মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী ভারতী মণ্ডল। তাঁদের একমাত্র ছেলে বিশেষ ভাবে সক্ষম। প্রতিদিন ভোর থেকে শুরু হয়ে জীবিকার জন্য বৃদ্ধ দম্পতির যুদ্ধ চলে প্রায় রাত ১০টা পর্যন্ত। চায়ের দোকানে সকাল থেকে ভিড় জমান বিভিন্ন মানুষজন। আলোচনার মাঝে, কথার ফাঁকে চলে আসে রাজনৈতিক প্রসঙ্গ। এ ছাড়াও চায়ের দোকানে চলে বিভিন্ন রকমের আলোচনা। খেলাধুলা থেকে রাজনীতি কিছুই বাদ যায় না। তৃণমূল, কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি, মমতা থেকে মোদী সবই নিয়ে তর্কবির্তক চলে চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে। বাগবিতণ্ডা থেকে অনেক সময় উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পঞ্চায়েত ভোটের রাজনৈতিক উত্তাপ যাতে তাঁর চায়ের দোকানে এসে না পড়ে সে জন্যই জেঠুর চায়ের দোকানে এহেন পোস্টার। এ বিষয়ে ভারতী মণ্ডল বলেন, “গরীবের সংসার আমাদের। দোকানের আয় থেকে কোনও রকমে সংসার চলে। দোকানে রাজনৈতিক আলোচনা থেকে শান্তি বিঘ্নিত হোক, তা আমরা চাই না। তবে এই পোস্টারের জন্য জেঠুর চায়ের দোকানে খদ্দেরের আসা কমেনি।”

জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেছেন, “অনেক সময়ে চায়ের দোকানে রাজনৈতিক তরজা হয়। তাতে দোকানে ক্ষতি হতে পারে। তাই তিনি ঠিকই করেছেন।” বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, “যদিও ব্যাপারটা বেশ অন্যরকম। তবে এর থেকেই বোঝা যায় মানুষ কতটা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। চায়ের দোকানে মানুষ চা খাবে, আড্ডা দেবে। এটাই স্বাভাবিক। এই ধরনের আড্ডা থেকে মানুষের মন বোঝা যায়। চায়ের দোকানে চা খেতে খেতে কী আলোচনা হবে সেটাও দোকান মালিককে ঠিক করে দিতে হচ্ছে। এর থেকে বোঝা যায় এখানে কতটা আতঙ্কের পরিবেশ রয়েছে।”