Raju Jha murder Case: রাজু ঝা খুনে আব্দুল লতিফকে নোটিস দিল SIT
Raju Jha murder case: গত ১ এপ্রিল পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে গুলি করে খুন করা হয় কয়লার কারবারি রাজেশ ওরফে রাজু ঝাকে।
বর্ধমান : রাজু ঝা খুনের ঘটনায় আব্দুল লতিফকে নোটিস দিল সিট। বুধবারই তাঁর বাড়িতে নোটিস দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন রাজুর সঙ্গে একই গাড়িতে ছিলেন লতিফ। সেই তথ্য সামনে আসার পর থেকেই লতিফের ওপর সন্দেহ বাড়ে। এবার তাঁর বাড়িতে গিয়ে নোটিস দিয়ে এল সিটের তদন্তকারীরা। খুনের ঘটনায় সাক্ষী হিসেবে ডেকে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। ১৬০ সিআরপিসিতে নোটিস পাঠানো হয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিস সেনের নেতৃত্বে ১২ জন সদস্যকে নিয়ে এই সিট গঠন করা হয়েছে।
সম্প্রতি সাংসদ অর্জুন সিং রাজু খুনে আব্দুল লতিফের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এই ঘটনা একেবারে পরিকল্পনামাফিক হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন অর্জুন। তাঁর দাবি এই খুনের ঘটনায় লিঙ্কম্যান হলেন আব্দুল লতিফ। লতিফ যেহেতু পলাতক, তাই তাঁকে ঘিরে সন্দেহ বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন ব্যারাকপুরের সাংসদ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজু সেদিন চালকের পাশের আসনে বসেছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, গাড়ির পিছনের সিটে ছিলেন আরও দু’জন ছিলেন। এর মধ্যে একজন ব্রতীন আর অন্যজন আব্দুল লতিফ বলেই সন্দেহ করা হয়।
গত ১ এপ্রিল পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে গুলি করে খুন করা হয় কয়লার কারবারি রাজেশ ওরফে রাজু ঝাকে। অভিযোগ, ল্যাংচা হাবের সামনে একেবারে সামনে থেকে গুলি করা হয়েছিল তাঁকে। পরে সামনে আসে একটি সিসিটিভি ফুটেজ । সেই ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেনি টিভি নাইন বাংলা। তবে সেখানে দেখা যাচ্ছে, একজন হলুদ জামা পরা যুবক এগিয়ে আসেন। সাদা এসইউভি গাড়িটির সামনে, যে গাড়িতে ছিলেন রাজু ঝা। গাড়ির সামনের জানলা দিয়ে মুখ বাড়িয়ে গুলি চালালেন। এরপরই বেরিয়ে গেলেন ঘটনাস্থল থেকে। এই খুনের ঘটনায় ১২ সদস্যের সিট গঠন করা হয়েছে।