Kalna : গায়ে তৃণমূলের প্রতীক দেওয়া গেঞ্জি, বউকে ফেরানোর দাবিতে রাস্তায় পেট্রোল হাতে যুবক

Kalna : বাপের বাড়িতে বউ। কিছুতেই ফিরছে না ঘরে। বউকে ফেরত পেতে দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিধায়কের। গিয়েছিলেন থানাতেও। অভিযোগ, তাতেও কোনও লাভ হয়নি।

Kalna : গায়ে তৃণমূলের প্রতীক দেওয়া গেঞ্জি, বউকে ফেরানোর দাবিতে রাস্তায় পেট্রোল হাতে যুবক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 10, 2022 | 8:38 PM

কালনা: প্রকাশ্য রাস্তায় পেট্রোলের বোতল হাতে অনেকক্ষণ থেকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যাচ্ছিল যুবকে প্রথমে কেউ কিছু বুঝতে না পারলেও খানিক পরেই গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালানোর চেষ্টা করে যুবক। তড়ঘড়ি তাঁকে থামাতে যায় ট্র্যাফিক পুলিশ (Traffic Police)। তাঁদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তি হল যুবকের। দিনেদপুরে যুবকের এ কাণ্ড দেখে শোরগোল পড়ে গেল কালনায় (Kalna)।  

বাপের বাড়িতে বউ। কিছুতেই ফিরছে না ঘরে। বউকে ফেরত পেতে দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিধায়কের। গিয়েছিলেন থানাতেও। অভিযোগ, তাতেও কোনও লাভ হয়নি। অবশেষে তৃণমূলের প্রতীক চিহ্ন আঁকা গেঞ্জি পরে তৃণমূলের পতাকা হাতে গায়ে পেট্রোল ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন কালনার যুবক মিঠুন মণ্ডল। তবে শেষ পর্যন্ত ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতায় আটকানো গিয়ছে ওই যুবককে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাপানউতর তৈরি হয়েছে জেলার নাগরিক মহলে। তবে ঘটনার পর পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মিঠুন। প্রশাসনের তরফে কোনও সাহায্য না পেয়েই তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে জানিয়েছেন অভিমানী মিঠুন। তিনি এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে তৃণমূল (Trinamool Congress) করতেন বলেও জানিয়েছেন। কিন্তু, তারপরেও দলের তরফ থেকে কোনও সাহায্য পাননি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। 

মিঠুন বলেন, “আমার সংসারটা ভেঙে যাচ্ছে। কদিন আগে আমি আমার বউ-বাচ্চা নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলাম। শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পরেই আমার বউকে আমার শাশুড়ি ও শালা আটকে রাখে। আমারও গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। পরে মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপরই আমি পুলিশের কাছে গিয়েছিলাম। আইনের সাহায্য নিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। এরপর গিয়েছিলাম আমাদের বিধায়কের কাছে। তিনিও পাত্তা দিলেন না। কালনায় যখন তৃণমূল তৈরি হয় তখন থেকে দল করছি। প্রথম ঝাণ্ডা আমরাই লাগাই। অথচ আমাকে কোনও সাহায্য করা হল না। সবাই বলল নিজের সমস্যা নিজেই সমাধান করে নাও। এ রাজ্যে বেঁচে থেকে কী লাভ। এর থেকে মরে যাওয়া অনেক ভাল। সে কারণেই আমি গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করি।” 

স্ত্রীর সঙ্গে কী ঝামেলা হত? উত্তরে ওই যুবক বলেন, “আগে আর্থিক কারণে অনেকবার ঝামেলা হয়েছে। এখন আর হয় না। তবে অশান্তি হলেও কোনওদিন গায়ে হাত দিইনি। এর আগে ও একবার বাপের বাড়ি চলে গিয়ছিল। তখন হাতেপায়ে ধরে বাড়ি নিয়ে এসেছিলাম।” তবে ওই যুবককে চেনেন না বলে জানিয়েছেন কালনার বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ। তিনি বলেন, “তৃণমূলের গেঞ্জি ও হয়তো অন্য কোথা থেকে পেয়েছি। আমরা অনেক সময় নানা জায়গায় দিয়ে থাকি। সেখান থেকে পেতে পারি। ও তৃণমূলের কর্মী নয়। আমি ওকে চিনি না। আজ সকালে আমার কাছে এসেছিল। ওকে বলেছিলাম স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ব্যক্তিগত ঝামেলা থাকলে নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নিতে।”