Panchayat Election: মেমারিতে ব্যালট পেপার কুড়িয়ে পাওয়ার দাবি সিপিএমের, কী বলছে তৃণমূল?
CPIM vs TMC: সিপিএমের দাবি, ৪৪টি ব্যালট পাওয়া গিয়েছে। ঘটনাটি মেমারির বাগিলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭ ও ১৮ নম্বর বুথের বলে দাবি সিপিএমের। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি টিভি নাইন বাংলা।
মেমারি: ভোট মেটার পর প্রায় দেড় সপ্তাহ অতিক্রান্ত। কিন্তু তারপরও ব্যালট নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠে আসছে। সিপিএমের পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির ফেসবুক পেজে সম্প্রতি একটি পোস্ট করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, বেশ কিছু ব্যালট পেপার ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। সিপিএমের দাবি, ৪৪টি ব্যালট পাওয়া গিয়েছে। ঘটনাটি মেমারির বাগিলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭ ও ১৮ নম্বর বুথের বলে দাবি সিপিএমের। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি টিভি নাইন বাংলা। তবে দাবি করা হচ্ছে, মেমারি কলেজের পাশেই ওই ব্যালটগুলি পড়ে ছিল। ওই চত্বরে কিছু স্ট্যাম্পও পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। আর এই নিয়েই জেলার রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র চাপানউতর। পঞ্চায়েত ভোটপর্ব ঘিরে ব্যালটের কারচুপির অভিযোগে আবারও সরব হয়েছে জেলার সিপিএম নেতৃত্ব।
সিপিএমের পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ভোটের গণনার দিন ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। বিরোধী দলের এজেন্টদের গণনাকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি সিপিএমের। তাদের অভিযোগ, গা-জোয়ারি করে সিপিএমের জয়ী প্রার্থীদের হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় বলছেন, তাঁদের দলের এক সমর্থক এগুলি কুড়িয়ে পেয়েছেন। এই ইস্যুটি নিয়ে হাইকোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে জেলার সিপিএম নেতৃত্ব।
যদিও সিপিএমের এই অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে শাসক শিবির। তৃণমূলের তরফে দেবু টুডুর দাবি, পুরোটাই সাজানো ও মিথ্যা ঘটনা। বলছেন, এই ঘটনাটি হল বিরোধীদের ‘পূর্ব পরিকল্পিত চাল’। দেবু টুডুর কথায়, সিপিএমকে মানুষ ভোট দেয়নি, তাই তারা হেরে গিয়েছে। আর ভোটে হারার পর সিপিএম মিথ্যা অভিযোগ করে, চক্রান্ত করে শাসক দলকে বদনাম করার চেষ্টা করছে বলেও পাল্টা দাবি তৃণমূল নেতার। তাঁর বক্তব্য, যে কেউ ব্যালট ছাপিয়ে এই ধরনের অভিযোগ করতে পারে।