Suvendu Adhikari: নোট বাতিলের সময় জ্যোতিপ্রিয়র স্ত্রীর নামে ৪ কোটি টাকার নোট বদল হয়েছে, বিস্ফোরক শুভেন্দু
Purba Burdwan: একইসঙ্গে এদিন আবাস যোজনা নিয়ে আরও একবার সুর চড়ান শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, মালদহ, পূর্ব মেদিনীপুরের পর এবার আরও ১৪ জেলায় তদন্তে আসছে কেন্দ্রীয় দল।
পূর্ব বর্ধমান: নোট বাতিলের সময় নোট বদল নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। রবিবার বর্ধমানে এক দলীয় কর্মসূচি থেকে শুভেন্দু বলেন, “গোটা পশ্চিমবঙ্গে দুর্নীতিগ্রস্ত নেতারা নোট বদল করেছেন। সিউড়ি কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্ককাণ্ড তারই উদাহরণ।” এই ঘটনায় বর্ধমানের এক যুবনেতার দিকে যেমন ইঙ্গিত করেছেন তিনি, একইভাবে আঙুল তুলেছেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী, প্রাক্তন বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতির দিকেও। একেবারে নাম করে এদিন শুভেন্দু নিশানা করেন। দাবি করেন, তাঁর কাছে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। এদিন শুভেন্দু বলেন, “এই বর্ধমানেও একজন বারের মালিক আছেন, যিনি তোলামূল পার্টির যুবনেতা। তার মাধ্যমেও এখানে টাকার বদল ঘটানো হয়েছে। এটা গোটা রাজ্যজুড়েই হয়েছে। আমি তো দু’টো নাম বলছি। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রীর নামে ৪ কোটি টাকা পরিবর্তন করা হয়েছে বিধাননগরের ব্যাঙ্কে। প্রাক্তন বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতি তৃণমূলের নেতা, তিনি ১৫ কোটি টাকা মুগবেড়িয়া কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কে বদল করেছেন। আমি তো নাম নিয়ে বলছি। আমার কাছে ডকুমেন্ট আছে। সব সময়মতো দেখিয়ে দেব।”
একইসঙ্গে এদিন আবাস যোজনা নিয়ে আরও একবার সুর চড়ান শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, মালদহ, পূর্ব মেদিনীপুরের পর এবার আরও ১৪ জেলায় তদন্তে আসছে কেন্দ্রীয় দল। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় দলের গতিবিধি শুভেন্দু কীভাবে আগেভাগে জেনে যাচ্ছেন? বিরোধী দলনেতার জবাব, “আমি বিরোধী দলনেতা। আমি অভিযোগকারী। আমার কাছে তো খবর থাকবেই। মালদহ ও পূর্ব মেদিনীপুরের অভিযোগ ১০০ শতাংশ প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। তার ভিডিয়ো আমার কাছে আছে। পরিদর্শক দল যে গ্রামে গিয়েছে, দেখেছে কী হয়েছে। গোয়াল ঘর দেখিয়ে টাকা নিয়েছে, কিন্তু পাকা বাড়ি। চোখের সামনে দেখে এসেছে। আমি তো ১৭ জেলায় অবজেকশন করেছি। আমাকে দফতর জানিয়েছে, ১৪ জেলায় আপাতত তদন্ত হবে। পরে আরও হবে।”
জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, “নোটবাতিল তো কেন্দ্রীয় সরকার করেছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের যারা সমর্থক তারা নিশ্চয়ই আগে থাকতে খবর পেয়ে নোটবাতিলের ফয়দা নিয়েছে। আর শুভেন্দুবাবু খোঁজ নিয়ে দেখুন বর্ধমান জেলায় বিজেপির পার্টি অফিসটা নোটবাতিলের সময়ই কেনা হয়েছিল। তাই আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করে লাভ হবে না। এসব ভিত্তিহীন। বিজেপি যেভাবে আমাদের দল ও দলের নেতাদের পিছনে এজেন্সি লাগিয়ে জেলবন্দি করার চেষ্টা করছে, এই অভিযোগের ভিত্তি থাকলে বিজেপি ছেড়ে দিত না নিশ্চয়ই।”