Burdwan University: বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির নামে লক্ষাধিক টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ, ‘ফাঁসানোর চেষ্টা’, দাবি অভিযুক্তের

Burdwan: বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই কর্মী ভক্ত মণ্ডল জানান, এই বক্তব্যের কোনও ভিত্তিই নেই। পুরোটাই আক্রোশের জেরে রটানো হচ্ছে। এ নিয়ে মামলাও করা হয়েছে।

Burdwan University: বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির নামে লক্ষাধিক টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ, 'ফাঁসানোর চেষ্টা', দাবি অভিযুক্তের
অভিযোগকারী সুব্রত সরকার। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 02, 2022 | 8:12 AM

পূর্ব বর্ধমান: গত কয়েকদিনে স্কুলে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। এবার অভিযোগ উঠল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও। অভিযোগ, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে সেখানকারই এক কর্মী টাকা নেন। কিন্তু সেই চাকরি হয়নি, টাকাও এখনও ফেরত পাননি। এরপরই বর্ধমান সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্যক্তি। যদিও যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই কর্মী ভক্ত মণ্ডল জানান, এই বক্তব্যের কোনও ভিত্তিই নেই। পুরোটাই আক্রোশের জেরে রটানো হচ্ছে। এ নিয়ে মামলাও করা হয়েছে।

পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ থানার মাসিলার বাসিন্দা সুব্রতকুমার সরকার। তাঁর অভিযোগ, ভক্ত মণ্ডল তাঁকে বলেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলের চাকরি করে দেবেন। তার বদলে ২ লক্ষ টাকা দিতে হবে। সুব্রত সরকারের দাবি, তিনি নগদ ৪০ হাজার টাকা ভক্তকে দেন। বাকি টাকার জন্য একটি চার কাঠার জমি ভক্ত মণ্ডলের কাছেই বিক্রি করেন। সেই জমির দাম হয় ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা।

সুব্রত সরকারের দাবি, ভক্ত সেই জমি নিজের নামে রেজিস্ট্রি করেননি। খুড়তুতো এক ভাইয়ের নামে রেজিস্ট্রি করান। এরপর ২ বছর পার হয়ে গেলেও চাকরি হয়নি সুব্রত সরকারের ছেলের। ফেরত পাননি টাকাও। ভক্ত মণ্ডলের কাছে বারবার তাগাদা করে ৫০ হাজার টাকার একটি চেক পান সুব্রত সরকার। এদিকে ব্যাঙ্কে সেই চেক ভাঙাতে গিয়ে দেখেন, ভক্ত মণ্ডলের অ্যাকাউন্টে এত পরিমাণ টাকাই নেই। ভক্তকে জানালে পাল্টা টাকা না ফেরানোর হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপরই পুলিশের দ্বারস্থ হন সুব্রত সরকার।

যদিও ভক্ত মণ্ডল বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। সুব্রত সরকারদের একটি যৌথ জমি আছে। সেই জমির ছ’জন ভাগীদার। এতদিন সেই জমির সবটাই তিনি একা ভোগ করতেন। বাকি ভাগীদাররা জমি বিক্রি করে দিচ্ছে জানতে পেরে আমি একটি জমি কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করি। একটি জমি আমার সঙ্গে ৮০ হাজার টাকায় রফা হয়।”

ভক্তের দাবি, “আমি অগ্রিম একটি ৫০ হাজার টাকার চেক দিয়েছিলাম এবং যেদিন রেজিস্ট্রি হবে সেদিন সমস্ত টাকা মিটিয়ে দেব বলে জানিয়েছিলাম। আমার উপর জমি সংক্রান্ত আক্রোশের থেকেই উনি এই ধরনের অভিযোগ আনছেন। এই অভিযোগের বিরুদ্ধে আমরা হাইকোর্টে মামলা করেছি। সেখানে সত্য ঘটনা প্রকাশ্যে আসবে। ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সেটা প্রমাণ করে দেব।” এই বিষয়ে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিমাই চন্দ্র সাহা বলেন, “আমার কাছে এরকম কোন অভিযোগ জমা পড়েনি। অভিযোগ করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী দেখা হবে।”