Burdwan University: অ্যাডমিট কার্ড ছাড়াই হয়ে গেল পরীক্ষা? চাঞ্চল্যকর অভিযোগ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে
Burdwan: একের পর এক অব্যবস্থার অভিযোগ ওঠে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। হোয়াটসঅ্যাপে নাম, রোল নম্বর দিয়ে কোনওরকম ফটো আইডেনটিটি ছাড়াই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০০ জনের পরীক্ষা নেওয়া হয় বলে একদিকে যেমন অভিযোগ।
পূর্ব বর্ধমান: কোনও পরীক্ষাই অ্যাডমিট কার্ড ছাড়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সোমবার এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানালেন উপাচার্য নিমাই সাহা। কেন অ্যাডমিট কার্ড ছাড়া পরীক্ষা তা জানতে সহ-উপাচার্যের নেতৃত্বে গড়া হয়েছে সাত সদস্যের তথ্যানুসন্ধান কমিটি। উপাচার্য নিমাইচন্দ্র সাহা বলেন, “একটা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি তৈরি করা হয়েছে। কী হয়েছে তা খুঁজে বের করা হবে। কোনও পরীক্ষাই অ্যাডমিট কার্ড ছাড়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
নিমাইবাবু জানান, “পোস্ট গ্র্যাজুয়েটের কোনওদিনই অ্যাডমিট কার্ড ছাড়া পরীক্ষা হয়নি। এখানে ৩০০ ছেলে মেয়ে। তাদের কেন অ্যাডমিট কার্ড ছাড়া এমফিল পিএইচডিতে পরীক্ষা হল, সেটা দেখবে এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি।” বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, অ্যাডমিট কার্ড ছাড়াই এমফিল, পিএইচডির কোর্স ওয়ার্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা নেওয়া হয়। এটা কীভাবে সম্ভব হল তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
একের পর এক অব্যবস্থার অভিযোগ ওঠে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। হোয়াটসঅ্যাপে নাম, রোল নম্বর দিয়ে কোনওরকম ফটো আইডেনটিটি ছাড়াই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০০ জনের পরীক্ষা নেওয়া হয় বলে একদিকে যেমন অভিযোগ। তেমনই অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত স্নাতকোত্তরের রেজাল্টের ‘হার্ডকপি’ পাননি পড়ুয়ারা। এরপরই সরব হন পরীক্ষার্থীরা। তাঁদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে বলেও দাবি করেন কেউ কেউ। এ বিষয়ে অবশ্য উপাচার্য জানান, মার্কশিট রয়েছে। তবে তা বিলি করা হয়নি।
সঙ্গে অভিযোগ, পিএইচডিতে একদিনও হাজিরা না দিয়ে ১৫ জন ছাত্র ছাত্রী পরীক্ষার অনুমতি পান। কীভাবে তা হল, শোরগোল পড়ে যায়। কারণ, ইউজিসির নিয়ম অনুযায়ী, পিএইচডির পরীক্ষায় বসতে গেলে রিসার্চ অ্যান্ড পাবলিকেশন এথিকসের কোসওয়ার্কে হাজির থাকা বাধ্যতামূলক। তা না হলে পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন পাওয়া যাবে না। কী করে তা হলে ১৫ জন পড়ুয়া সে সুযোগ পেলেন? এ প্রসঙ্গে উপাচার্য জানান, কেউ যদি ক্লাস না করেন, তা হলে তিনি পড়ুয়া হিসাবে গণ্যই হবেন না। তথ্যানুসন্ধান কমিটি এই অভিযোগও খতিয়ে দেখছে।