Water Problem: পাড়ায় একটাই কল, ভাগ্য সদয় হলে তবেই মেলে জলের দেখা… দুর্ভোগে বাড়ছে ক্ষোভ

Galsi: স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গ্রামে পানীয় জল ও কল সারাইয়ের দাবিতে মহিলা-পুরুষ সকলেই পথে নেমেছেন। দলবদ্ধভাবে কালনা-২ সমষ্টি উন্নয়ন দফতরেও যান। তবে কাজ হয়নি।

Water Problem: পাড়ায় একটাই কল, ভাগ্য সদয় হলে তবেই মেলে জলের দেখা... দুর্ভোগে বাড়ছে ক্ষোভ
কলে জল নেই। কলতলাতে চলছে গপ্পোগাছা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 28, 2023 | 7:13 AM

কালনা: দেড় মাস ধরে ট্যাপ কলে জল (Water Problem) পড়ে না। কখনও যদি জল পড়ে তা সরু সুতোর মতো। কলসি, বালতি নিয়ে সকাল থেকে লম্বা লাইন দেন পাড়ার লোকজন। অভিযোগ, দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও জল না পেয়ে ফিরতে হয় অনেককে। জলের চাপ কম থাকায় এই সমস্যায় ভুগছে পূর্ব বর্ধমানের কালনা-২ ব্লক। সেখানকার বৈদ্যপুর পঞ্চায়েতের হাসনহাটি গ্রামের মানুষগুলো। ট্যাপ কলে যেমন জল নেই, তেমনি গ্রামের টিউবওয়েলগুলিও বেহাল। গ্রামবাসীর অভিযোগ, এ নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত যেমন নির্বিকার, প্রশাসনেরও উদাসীন মনোভাব। বসন্তেই এই অবস্থা হলে ভরা চৈত্র-বৈশাখে কী হবে, চিন্তায় গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গ্রামে পানীয় জল ও কল সারাইয়ের দাবিতে মহিলা-পুরুষ সকলেই পথে নেমেছেন। দলবদ্ধভাবে কালনা-২ সমষ্টি উন্নয়ন দফতরেও যান। আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে সবটা জানানও। অভিযোগ, বিডিও অফিস থেকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তবে কাজ এগোয়নি এক কদমও।

এলাকার লোকজনের কথায়, গত কয়েক মাস ধরেই জল না পেয়ে সমস্যা হচ্ছে। পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে চারপাশে যত মাতামাতি বাড়ছে, ততই ক্ষোভে ফুঁসছেন গ্রামবাসী। তাঁরা হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন, প্রয়োজনে ভোট বয়কট করবেন এবার। কালনা-২ ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অমিত কুমার চৌরাসিয়াও জলের সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, গ্রামে একটি সাবমার্সিবেল পাম্প বসিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “কখনও মাঝে মাঝে জল এলে এক বালতি ধরে রাখি। তাও সকলে পায় না সে জল। কখনও আবার সারাদিন জলই আসে না। তিন মাস হয়ে গেল। সারাদিন কলের নীচে বালতি বসিয়ে রাখি। এ পাড়ায় একটাই কল। কাছে একটা সজল ধারা প্রকল্প চালু হয়েছে। ওটাও যদিও বন্ধ ছিল। বিডিও সারিয়ে দেন। এখন ওখান থেকে গিয়ে জল টেনে নিয়ে আসতে হচ্ছে। সবাই শুনি বাড়ি বাড়ি কল পাচ্ছে। আমাদের এখানে কেন হবে না? আমাদেরও তো তাহলে সুবিধা হয়।”