শুভেন্দুর সভাগামীদের উপর হামলায় ধৃত দুই, নন্দীগ্রামে তৃণমূল কার্যালয়ে তাণ্ডব
পুলিসের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নন্দীগ্রামের মানুষ। তাঁদের দাবি, এ ধরনের হামলা এবং পাল্টা হামলা পুলিসকে শক্ত হাতে দমন করতে হবে। না হলে এলাকায় নির্বিঘ্নে বসবাস অসম্ভব হয়ে উঠবে।
পূর্ব মেদিনীপুর: ফের হিংসার হাত ধরে শিরোনামে নন্দীগ্রাম। এবার তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ। নন্দীগ্রামের মহম্মদপুর-১ এলাকার ঘটনা। অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে একদল দুষ্কৃতী সেখানে হামলা চালায়। তৃণমূলের পতাকা ছিড়ে ফেলে তারা। ভাঙচুর করে আসবাবপত্র। তৃণমূলের দাবি, বিজেপির লোকজন এলাকায় হিংসা ছড়াচ্ছে। পাল্টা বিজেপির দাবি, তাদের বদনাম করতে তৃণমূলের লোকজন নিজেরাই এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। অন্যদিকে মঙ্গলবার বিজেপি কর্মীদের বাসে হামলার ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
বিজেপিতে যোগদানের পর মঙ্গলবারই প্রথম নন্দীগ্রামে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে সভা করেন তিনি। সেই সভায় আসার পথে স্থানীয় ভুতার মোড়ে হামলার শিকার হন বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের তিনটি বাসে ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিজেপি কর্মীদের দাবি, এই হামলা তৃণমূলের লোকজন করিয়েছে। পাল্টা তৃণমূলও দাবি করে, আদি-নব্য বিজেপির কোন্দলে জেরবার জেলা। এ ঘটনা তারই ফল। যদিও সভা থেকে শুভেন্দু হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, তাঁকে যেন কোনওভাবেই কেউ দুর্বল ভেবে ভুল না করেন।
আরও পড়ুন: পার্টি সেরে ফেরার পথে গাড়িতে তরুণীর শ্লীলতাহানি
এরপরই এদিন রাতের ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। তৃণমূলের দাবি, বিজেপির লোকজন প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে উঠেছে। তারাই এই ঘটনা ঘটাচ্ছে। যদিও বিজেপির তরফে বলা হয়েছে, বিজেপিকে আটকাতে এই ধরনের ঘটনা। এর সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্কই নেই। এদিকে এই ঘটনায় পুলিসের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নন্দীগ্রামের মানুষ। তাঁদের দাবি, এ ধরনের হামলা এবং পাল্টা হামলা পুলিসকে শক্ত হাতে দমন করতে হবে। না হলে এলাকায় নির্বিঘ্নে বসবাস অসম্ভব হয়ে উঠবে।