দেওয়াল নিয়ে দলাদলি, নাম ‘মুছল’ তৃণমূলের, ‘দখলের রাজনীতি’ বিজেপির

স্থানীয়দের কথায়, ভোট যত এগিয়ে আসছে উদ্বেগ বাড়ছে এলাকায়। রাজনৈতিক এই উত্তেজনা সাধারণ মানুষের জন্য ক্রমেই বড়সড় হুমকি হয়ে উঠছে।

দেওয়াল নিয়ে দলাদলি, নাম 'মুছল' তৃণমূলের, 'দখলের রাজনীতি' বিজেপির
এই দেওয়াল লিখন ঘিরেই উত্তেজনা।
Follow Us:
| Updated on: Dec 29, 2020 | 10:24 AM

পূর্ব মেদিনীপুর: গত কয়েকদিনে রাজনীতির সমীকরণ বদলেছে বাংলায়। ভীষণভাবে সেই বদল নজরে পড়ছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। রাজনৈতিক উত্তেজনা লেগেই রয়েছে সেখানে। কখনও কাঁথি, কখনও তমলুক, কখনও আবার হলদিয়া, সর্বক্ষণ ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকছেন সাধারণ মানুষ। ওই বুঝি লেগে গেল! সোমবার সন্ধেয় ‘দেওয়াল দখল’কে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় মহিষাদলে। কাঠগড়ায় শাসকদল ও রাজ্যের প্রধান বিরোধী শক্তি বিজেপি। তৃণমূলের দাবি, তাদের দেওয়াল জোর করে দখল নিতে চাইছে বিজেপি। পাল্টা গেরুয়া শিবিরের দাবি, দেওয়ালের মালিকই এই লিখনের অনুমতি দিয়েছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে মহিষাদল থানার পুলিস পৌঁছয় এলাকায়।

আরও পড়ুন: বিধানসভা ভোটে বিজেপির প্রার্থী হতে চান? জীবনপঞ্জী জমা দিন ড্রপবক্সে

স্থানীয় সূত্রে খবর, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে মহিষাদল ব্লকের ৮৫ নম্বর বুথে রাসমঞ্চের কাছে একটি দেওয়াল দখল করে তৃণমূল। ভোটের প্রচারে তা ব্যবহার করা হবে বলে ‘সাইট ফর তৃণমূল’ লিখে রাখে তারা। অভিযোগ, সোমবার সন্ধেয় স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব দলবল নিয়ে এলাকায় হাজির হয়। তৃণমূলের লেখার উপরই সাদা রঙের প্রলেপ ফেলে বিজেপির সমর্থনে লেখা শুরু করে। খবর পেয়েই সেখানে পৌঁছয় তৃণমূলের কর্মী, সমর্থকরা। এরপরই শুরু হয় বচসা, কথা কাটাকাটি। পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হতে থাকে। খবর যায় থানায়। পুলিস এসে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে।

আরও পড়ুন: জমির ধারে উদ্ধার কঙ্কালের খুলি, কিছু দূরে পড়ে মহিলার শাঁখা

বিজেপির এক স্থানীয় নেতার কথায়, “দেওয়ালের মালিক আমাদের অনুমতি দিয়েছেন দেওয়ালের কিছুটা অংশে প্রচারের জন্য ব্যবহার করতে। কিন্তু লিখতে গিয়ে আমাদের তৃণমূলের বাধার মুখে পড়তে হয়।” তৃণমূলের পাল্টা দাবি, “আমরা আগে থেকেই ওই দেওয়াল নিয়ে রেখেছিলাম। আমাদের লেখার উপর জোর করে লেখার চেষ্টা চালাচ্ছিল বিজেপি। নিজেদের ক্ষমতা দেখাতে চাইছে ওরা। মহিষাদলে রাজনৈতিক অশান্তি তৈরি করার চেষ্টা করছে।” স্থানীয়দের কথায়, ভোট যত এগিয়ে আসছে উদ্বেগ বাড়ছে এলাকায়। রাজনৈতিক এই উত্তেজনা সাধারণ মানুষের জন্য ক্রমেই বড়সড় হুমকি হয়ে উঠছে। পুলিস অবশ্য় জানিয়েছে, পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে তারা।