মর্মান্তিক! স্বাস্থ্যসাথী কার্ডই মৃত্যু ডেকে আনল তরতাজা যুবকের

Swastha Sathi: বুধবার মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের জুনপুট এলাকায়। আঙুল উঠল হাসপাতালের দিকে। 

মর্মান্তিক! স্বাস্থ্যসাথী কার্ডই মৃত্যু ডেকে আনল তরতাজা যুবকের
ছেলাহারা মায়ের কান্না
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 03, 2021 | 9:20 AM

পূর্ব মেদিনীপুর: ‘দুয়ারে সরকার’ (Duare Sarkar) শিবিরে ছুটে গিয়েছিলেন স্বাস্থ্যসাথী (Swastha Ssathi) কার্ড করানোর জন্য। ভবিষ্যতে শারীরিক অসুস্থতায় যাতে পরিবারকে সমস্যায় পড়তে না হয়, তার জন্য সরকারি শিবিরে মা-কে নিয়ে যাচ্ছিলেন যুবক। কিন্তু সেই কার্ড আনতে গিয়েই অন্ধকার নেমে এল বিজলী পরিবারে। পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল বাড়ির তরতাজা যুবক। বুধবার মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের জুনপুট এলাকায়। আঙুল উঠল হাসপাতালের দিকে।

স্বাস্থ্য সাথী (Swastha Sathi Card) কার্ড আনতে গিয়ে পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন অক্ষয় বিজলী নামে এক ব্যক্তি। এমনকি যে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়লেন যুবক, গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসা করা হয়নি বলে অভিযোগ। হাসপাতালের গাফিলতিতে রোগীমৃত্যুর অভিযোগে তীব্র বিক্ষোভ শুরু হয় কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে। হাসপাতাল গেটে জমে যান কয়েকশো মানুষ।

ঠিক কী ঘটেছিল?

রাজ্য জুড়ে চলছে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি। আর সেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আনতে গিয়ে অন্ধকারে নেমে এল বিজলী পরিবারে। চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যু ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে। ডাক্তার ও নার্সদের কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলে সোচ্চার হলেন মৃত রোগীর পরিবার থেকে আত্মীয়-স্বজনরা। কয়েক’শো মানুষ ভিড় করেন হাসপাতালে। মৃতের পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের কাছে পেয়ে কার্যত চিকিৎসকদের উপর ক্ষোভ উগরে দিলেন তাঁরা।

জানা গিয়েছে, জুনপুট উপকূল থানার রঘু সর্দার বাড় এলাকায় বুধবার সকালে একটি অটো ভাড়া করে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করার জন্য বাড়ি দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে যাচ্ছিলেন। কোনও কারণে সেই অটোটি উল্টে যায়। গুরুতর জখম অক্ষয় বিজলী নামে এক যুবককে দ্রুত উদ্ধার করে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যরা ও স্থানীয় মানুষজন। অভিযোগ, সে সময় কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে কোনও চিকিৎসকই ছিলেন না। কর্তব্যরত নার্সকে চিকিৎসার জন্য বারবার অনুরোধ করলে তাঁরাও কোনও গুরুত্ব দেননি বলে অভিযোগ। বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ কার্যত বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয় অক্ষয় বিজলির। এর পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতের পরিবারের সদস্যরা।

মৃত যুবকের বাবা দুলাল বিজলি বলেন, “বিনা চিকিৎসার কারণে আমার ছেলেকে হারালাম। কর্তব্যরত নার্স ও চিকিৎসকের অবহেলায় কারণে মৃত্যু হল আমার ছেলের। হাসপাতলে কোনও চিকিৎসক ছিলেন না। বারবার অনুরোধ করার পরও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি হাসপাতালের আধিকারিকরা। আমার ছেলেকে কেড়ে নিল। নার্স এবং চিকিৎসকদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।” হাসপাতালের সামনে কাঁদতে কাঁদতে মৃতের মা অম্বিকার অভিযোগ, “চিকিৎসকায় গাফিলতির জন্যই আমার ছেলেকে হারালাম।” আরও পড়ুন: দরপত্রে বিরোধ, তৃণমূল নেতা মোস্তফা শেখ হত্যা-মামলায় পুণে থেকে গ্রেফতার ৩