Tamluk: কারও নাক কাটল, কারও কান! সমবায়ের ভোটেও ঝরল রক্ত
Purba Medinipur: বল্লুক ইউনিয়ন কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচার ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেডে মোট ৪৪টি আসনে ভোট হয় রবিবার। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস জয় লাভ করে ৪০টি আসনে। সিপিএম ও বিজেপির জোট জয় লাভ করে ৪টি আসনে। অভিযোগ, ভোটে জেতার পরই এলাকায় অশান্তি শুরু হয়।
পূর্ব মেদিনীপুর: সমবায়ের ভোটেও ঝরল রক্ত! শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বল্লুক ইউনিয়ন কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচার ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেড। রবিবার সেখানে ভোট ছিল। তৃণমূল কংগ্রেস ছিল একদিকে। অন্যদিকে বিজেপি, সিপিএম ও আইএসএফের প্রার্থীরা। অভিযোগ, তৃণমূল ভোটে জেতার পরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের রানিচক এলাকা। আইএসএফ কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগ ওঠে। শাসকদলের দিকে অভিযোগের আঙুল।
বল্লুক ইউনিয়ন কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচার ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেডে মোট ৪৪টি আসনে ভোট হয় রবিবার। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস জয় লাভ করে ৪০টি আসনে। সিপিএম ও বিজেপির জোট জয় লাভ করে ৪টি আসনে। অভিযোগ, ভোটে জেতার পরই এলাকায় অশান্তি শুরু হয়।
বল্লুক সমবায় ভোটের সময় তৃণমূল কংগ্রেস ও আইএসএফ কর্মীদের মধ্যে ঠেলাঠেলি, মারধরে উত্তপ্ত হয় এলাকা। অভিযোগ, সমবায় ভোটে জেতার পর তৃণমূল বিজয় মিছিল বের করে। আর সেখান থেকেই আইএসএফ কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর চলে বলে অভিযোগ। মারধরও করা হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় তমলুক থানার বিশাল পুলিশবাহিনী।
তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী শেখ হাসিবুলের কথায়, “ওরা আমাকে ৬-৭ জন মিলে মারধর করে। আইএসএফ, বিজেপির লোক ছিল। আমার নাক ফাটিয়ে দেয়। ওদের জন্য সমবায় ভোটে রক্ত ঝরল।” বল্লুক-২ অঞ্চল তৃণমূলের সভাতি মৃত্যুঞ্জয় মান্না অবশ্য দলীয় কর্মীদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন। বলেন, “আমাদেরই সমর্থকদের মারধর করা হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি। আইএসএফের লোক আহত হয়নি।”
আইএসএফের শেখ রবিউলের পাল্টা অভিযোগ, “আমাকে এমন মেরেছে কান থেকে রক্ত বেরোচ্ছে। খুব মেরেছে আমাদের। পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় আসতে পারেনি। এত চুরি করেছে যে মানুষের ভোট পায়নি। এখন এখানে এসে মারামারি করছে।”
অন্যদিকে বিজেপির মণ্ডল সহ-সভাপতি সুনীতকুমার জানার কথায়, “৪৪ আসনের মধ্যে ৬টিতে বিনা লড়াইয়ে তৃণমূল জেতে। ৩৮টা আসনে ভোট হয়। ৩৪টায় প্রার্থী দিই। আমরা ২টি জিতি। বামেরা ২টি, বাদবাকি তৃণমূল। জোটের অভিযোগ একেবারেই ভুল।”