Khejuri Chaos: ‘ওসির এখন তৃণমূল নেতা হওয়ার শখ হয়েছে’, মিথ্যে মামলায় জড়ানোর অভিযোগে সরব বিজেপি
Purba Medinipur: জানা গিয়েছে, দেড় দশক আগে জমি আন্দোলনের সময় খেজুরি ও নন্দীগ্রাম দফায়-দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। চলেছিল গুলি। প্রাণ হারিয়েছিলেন একের পর এক গ্রামবাসী।
খেজুরি: এক সময় জমি আন্দোলন দেখেছিল খেজুরি। সেই ঘটনায় দেখতে-দেখতে কেটে গিয়েছে প্রায় দেড় দশক। আবারও নতুন করে রাজনৈতিক সংঘর্ষের উত্তপ্ত হচ্ছে এই জায়গা। একাধিক মিথ্যে মামলায় জড়ানোর অভিযোগ উঠছে পুলিশের বিরুদ্ধে। যদিও, তৃণমূল সম্পূর্ণ দোষটাই সিপিএম-এর ঘাড়ে চাপাচ্ছে।
দেড় দশক পর জমি আন্দোলনের জেরে দফায়-দফায় উত্তপ্ত হচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুরে খেজুরি। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের মদতে রাতের অন্ধকারে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে-বাড়িতে হামলা চালাচ্ছে পুলিশ এমনটাই বিজেপি নেতৃত্বদের দাবি। শুধু তাই নয়, থানায় অভিযোগ জানাতে গেলেও কোনও লাভ হচ্ছে না। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, পুলিশ এখন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে কাজ করছে। বিজেপি নেতৃত্বদের এই অভিযোগের পর রীতিমত রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়েছে। যদিও, বিষয়টি অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
জানা গিয়েছে, দেড় দশক আগে জমি আন্দোলনের সময় খেজুরি ও নন্দীগ্রাম দফায়-দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। চলেছিল গুলি। প্রাণ হারিয়েছিলেন একের পর এক গ্রামবাসী। তৎকালীন পুলিশ মন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও খেজুরি ও নন্দীগ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। তারপর এই রাজ্যে পালাবদল হয়। ২০১১ পর থেকে খেজুরি ও নন্দীগ্রাম পুরোপুরি শান্ত আকার নেয়। তার মাঝেই প্রায় দেড় দশক পেরিয়ে যায়। সেই পুলিশের বিরুদ্ধে দলদাসের অভিযোগ তুলে সরব হলেন বিজেপি নেতৃত্বরা। তৃণমূল ও বিজেপি একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে।
স্থানীয় তৃণমূল ব্লক সহ সভাপতি শ্যামল মিশ্র বলেন, ‘বিজেপি কেন্দ্রীয় সংস্থা এনআইএ-কে কাজে লাগিয়ে মিথ্যা মামলা যে তৃণমূল কর্মী নেতাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। বোমা-বন্দুকের সরবরাহ করছে বাম থেকে রামে আসা কর্মীরা। এলাকায় বিজেপি নেই সিপিএম কর্মীরাই সন্ত্রাস করছে। পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আইন আইনের পথেই চলবে। যাদের বিরুদ্ধে বলছে ওরা তাদের বিরুদ্ধে পূর্বে মামলা ছিল।”
পাল্টা বিজেপি কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক পবিত্র দাস বলেন, ‘রাজ্য পুলিশ মিথ্যা মামলা দিয়ে বিজেপি কর্মী সমর্থক নেতাদের গ্রেফতার করছে। রাতে বাড়িতে ঢুকে নির্বিচারে অত্যাচার করছে পুলিশ। জোর করে তৃণমূল করার জন্য চাপ দিচ্ছে পুলিশ বলে অভিযোগ। খেজুরি থানার ওসির এখন তৃণমূল নেতা হওয়ার শখ হয়েছে। তাই রাতের অন্ধকারে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালাচ্ছে। কোনও মহিলা পুলিশ ছাড়াই গ্রেফতার করার নামে গুণ্ডামি চালাচ্ছে ওসি।’
বস্তুত, কয়েকদিন আগেই ভোট পরবর্তী হিংসা ছড়ানো ও বোমাবাজীর ঘটনায় খেজুরি বিধানসভার প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি শুভ্রাংশু শেখর দাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপরেই শুরু হয় নতুন বিতর্ক। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন বিজেপি নেতৃত্বরা।
যদিও খেজুরি থানার ওসির কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এই বিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ)মানব সিংলা বলেন, ‘খেজুরির থানার পূর্ব ভাঙ্গনমারীর এমন অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। যদি এমন অভিযোগ আসে তাতে স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ করলেই, সে যেই হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”