Nandigram: সমবায় নির্বাচনে রক্তাক্ত নন্দীগ্রাম, তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে আহত ১০

TMC-BJP Clash: শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রামে ভেটুরিয়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন পারিচালন সমিতির নির্বাচন ছিল। সমবায় সমিতিতে মোট ১২ টি আসন রয়েছে।

Nandigram: সমবায় নির্বাচনে রক্তাক্ত নন্দীগ্রাম, তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে আহত ১০
নন্দীগ্রামে সমবায় নির্বাচনে ঘিরে সংঘর্ষে আহত
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 23, 2022 | 3:01 PM

নন্দীগ্রাম: সমবায় নির্বাচন ঘিরে রক্তাক্ত হল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। যদিও এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে বিজেপি। উল্টে তাদের কর্মী সমর্থকদের বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। রক্তাক্ত তৃণমূল সমর্থকদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রামে ভেটুরিয়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন পারিচালন সমিতির নির্বাচন ছিল। সমবায় সমিতিতে মোট ১২ টি আসন রয়েছে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ১২টি আসনেই প্রার্থী দেয়। বিজেপিও ১২ টি আসনে প্রার্থী দেয়। ভয় দেখিয়ে বিজেপি একজন প্রার্থীকে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হয় বলে বিজেপি অভিযোগ। এই নির্বাচনকে ঘিরে কার্যত সকাল থেকে উত্তপ্ত ছিল নন্দীগ্রাম। সকাল ১১ টা নাগাদ বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। বিজেপি ও তৃণমূল একে অপরের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তোলে। এই সংঘর্ষে জখম একাধিক তৃণমূল কর্মী সমর্থক। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুই পক্ষের মোট ১০ জন আহত বলে জানা যাচ্ছে। তৃণমূলের গুরুতর জখম ৫, বিজেপির আহত ৫ জন বলেই প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে।

রক্তাক্ত ভোটার ও তৃণমূল কর্মী বলেন, “বিজেপি বাইরে থেকে লোক নিয়েছে হামলা চালিয়েছে। বিজেপি নেতা মেঘনাথ পালের নেতৃত্বে হামলা চালিয়েছে।” নন্দীগ্রামে বিজেপি নেতা বটকৃষ্ণ দাস বলেন, “সমবায় নির্বাচন নিয়ে গতকাল রাত থেকে তৃণমূল কংগ্রেস বহিরাগত জমা করেছে। আমাদের বেশ কিছু কর্মীকে বেধড়ক মারধর করেছে। ভোটারদের কেন্দ্রে ভোট যেতে দিচ্ছে না। আমাদের একাধিক কর্মী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। অনেক ভোটার ভোট দিতে পারছে না রাস্তায় দাঁড়িয়ে রয়েছে।” স্থানীয় তৃণমূল নেতা প্রভাকর বেরা বলেছেন, “বিজেপি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে। বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে হামলা চালাচ্ছে। ভোটে হারার ভয়ে এমন কাজকর্ম চালাচ্ছে বিজেপি। আগামী দিনে মানুষ যোগ্য জবাব দেবে।” নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ আধিকারিক বলেন, “পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”