Subal Manna: শিশিরই ‘গুরু’, নিজেকে একলব্যের সঙ্গে তুলনা করে বললেন পদ খোয়ানো সুবল মান্না

Purba Medinipur: সোমবারই তৃণমূলের ১৬ জন কাউন্সিলরের অনাস্থায় কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান পদ থেকে সরতে হয় সুবল মান্নাকে। এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন তিনি। যার পরবর্তী শুনানি আগামী বুধবার। আজ সোমবারও শুনানি ছিল। তবে কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ বিচারপতি দেননি। সুবল মান্নার দাবি, আদালতের উপর ভরসা আছে তাঁর। বিচারপতি যে নির্দেশই দেবেন, তা শিরোধার্য।

Subal Manna: শিশিরই 'গুরু', নিজেকে একলব্যের সঙ্গে তুলনা করে বললেন পদ খোয়ানো সুবল মান্না
এই সেই মুহূর্ত। শিশির অধিকারীর পা ছুঁয়ে প্রণাম করছেন সুবল মান্না। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 22, 2024 | 7:44 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: দলীয় কাউন্সিলরদের আনা অনাস্থায় হেরে বিস্ফোরক কাঁথির কাউন্সিলর সুবল মান্না। লাগাতার দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে নিশানা করে গেলেন সোমবার। একইসঙ্গে জানালেন, শিশির অধিকারীকে প্রণাম করার জন্য পদ খোয়ানোয় বিন্দুমাত্র ভাবিত নন। সুবল মান্নার কথায়, “একলব্য তাঁর বুড়ো আঙুল কেটে গুরুদক্ষিণা দিয়েছিল। আমি না হয় আমার গুরুকে প্রণাম করে চেয়ার খোয়ালাম। এতে আমার দুঃখ নেই, বরং গর্ব। আমার বাবা-মা নেই। উনি আমার বাবার মতো। ওনাকে প্রণাম করতে গিয়ে আমার সর্বস্ব গেলেও তাতেও আমি কুণ্ঠিত নই।”

সোমবারই তৃণমূলের ১৬ জন কাউন্সিলরের অনাস্থায় কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান পদ থেকে সরতে হয় সুবল মান্নাকে। এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন তিনি। যার পরবর্তী শুনানি আগামী বুধবার। আজ সোমবারও শুনানি ছিল। তবে কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ বিচারপতি দেননি। সুবল মান্নার দাবি, আদালতের উপর ভরসা আছে তাঁর। বিচারপতি যে নির্দেশই দেবেন, তা শিরোধার্য।

তবে সুবল মান্নার কথায়, “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এটা করা হয়েছে। যারা চুরি করেছে, তারা বড় বড় বিবৃতি দিচ্ছে। যারা জেল খেটেছে তারা বড় বড় কথা বলছে। আর আমি আমার গুরুকে প্রণাম করতে গিয়ে আজকে রাজনীতির শিকার। ঘৃণ্য রাজনীতি করে আমাকে সরাল। আমি চেয়েছিলাম মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে স্বচ্ছ পুরসভা উপহার দেব। কাঁথির মানুষ সবসময় পাশে থেকেছেন আমার।”

এদিন কারও নাম না করেই দলের কাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তা স্পষ্ট করে দিলেন সুবল মান্না। তাঁর কথায়, যাঁরা জেল খাটছেন, চুরি করছেন, তাঁরাই এখন মুখপাত্র হয়েছেন। সেবেলায় কিছু নেই। রামনগরের বিজেপি নেতার কানে ফুসফুস করছেন, সেগুলো দলের কেউ দেখতে পান না।

সাতবারের কাউন্সিলর সুবল মান্না। প্রথমবার কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান হয়েছেন। কিন্তু সেই অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখকর হল না। পদ খুইয়ে যেভাবে সুবল দলের বিরুদ্ধেই তেড়েফুঁড়ে উঠেছেন, তাতে জল্পনা এবার কি পদ্মপতাকার তলায় ঠাই নিতে চলেছেন তিনি? সুবল মান্না অবশ্য বলছেন, “আমি আগামিদিনে কী করব সেটা পরে বিবেচনা করব। এখনও আমি তৃণমূলেরই কাউন্সিলর। দলের প্রতি আস্থা রেখে, মান্যতা দিয়ে টার্ম শেষ করব।”