Egra Blast: শ্বশুর ভানুকে কটকের হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন জামাই, সেই নিশিকান্তকেই এবার আটক CID-র
Egra Blast: জানা গিয়েছে, শনিবার ভোর চারটে নাগাদ সিআইডির একটি দল ও এগরা থানার পুলিশ পৌঁছয় ওড়িশার বালেশ্বরে। সেখানে কামারদা থানার অন্তর্গত ভোগরাই অঞ্চলের চাঁদকুসমি ও মহাগব গ্রামে নিশিকান্তর খোঁজে পৌঁছয় তদন্তকারী দল।
এগরা: এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডের (Egrablast) মূল অভিযুক্ত ভানু বাগ (Bhanu Bag) শুক্রবারই প্রয়াত হয়েছেন। এবার তাঁর জামাই নিশিকান্ত পালইকে আটক করল সিআইডি। ঘটনার দিন ভানুকে কটকের হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন জামাই বলে খবর।
জানা গিয়েছে, শনিবার ভোর চারটে নাগাদ সিআইডির একটি দল ও এগরা থানার পুলিশ পৌঁছয় ওড়িশার বালেশ্বরে। সেখানে কামারদা থানার অন্তর্গত ভোগরাই অঞ্চলের চাঁদকুসমি ও মহাগব গ্রামে নিশিকান্তর খোঁজে পৌঁছয় তদন্তকারী দল। দীর্ঘ তল্লাশির পর মহাগব গ্রাম থেকে অভিযুক্তকে আটক করে কামারদা থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে। দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর নিশিকান্তকে ছেড়ে দেন আধিকারিকরা। তবে তাঁকে এখনই গ্রাম ছাড়তে বারণ করেন তাঁরা।
সিআইডি ও পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তকারী আধিকারিকদের নিশিকান্ত জানিয়েছেন যে তাঁর কাছে ভানু বাগ এসেছিলেন। যেন তিনি তাঁকে কটক নিয়ে গিয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন।
অপর দিকে ভানুর স্ত্রী গীতা বাগকে খুঁজছে সিআইডি। কোথায় তিনি আত্মগোপন করে রয়েছেন সেই বিষয়টির খোঁজ করছেন গোয়েন্দারা। ভানুর জামাই বাড়ি এগরা থানার পাঁচরোল বলে জানা যাচ্ছে। ভানুর বালেশ্বরের বাড়িতে যাতায়াত ছিল। এই ব্যবসায় ভানুর জামাইয়ের অংশীদারিত্ব ছিল বলেও খবর। স্ত্রী ও জামাইয়ের এই ব্যবসায় কার কতটা ভূমিকা সেই সূত্রে খোঁজেই তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য, এগরাকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২। এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন দু’জন। দু’জনেরই মৃত্যু হল। শুক্রবার সন্ধ্যায় মারা যান রবীন্দ্র মাইতি। এগরা বাজিকাণ্ডে শনিবার এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন দ্বিতীয় রোগীরও মৃত্যু হয়। সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ মৃত্যু হয় খাদিকুলের পিঙ্কি মাইতির। গত ১৬ মে ঘটনার দিন ৯ জন মারা গিয়েছিলেন।