Haldi River: রূপনারায়ণ ও হলদির কোপে বিধ্বস্ত দেড় হাজারের বেশি পরিবার, ভরসা এখন ত্রাণ শিবির
Purba Medinipur: পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের তেরোপেক্ষ্যা, দীনবন্ধুপুর, সোনাচূড়া-সহ ওপারের হলদিয়ার রূপনারায়ণচকের বিস্তীৰ্ণ এলাকা জল ঢুকে প্লাবিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুর: একে নিম্নচাপ তার উপর দোসর হয়েছে পূর্ণিমার কোটাল দুয়ে মিলে জেরবার পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবাসী। নিম্নচাপের অবিরাম বর্ষণের ফলে বিপদসীমা অতিক্রম করে বেড়ে উঠেছে হলদি নদীর জলস্তর। রবিবার রীতিমত জোয়ারের সময় ফুঁসে ওঠে নদী। যার জেরে প্লাবিত একাধিক গ্রাম
পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের তেরোপেক্ষ্যা, দীনবন্ধুপুর, সোনাচূড়া-সহ ওপারের হলদিয়ার রূপনারায়ণচকের বিস্তীৰ্ণ এলাকা জল ঢুকে প্লাবিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। হাঁটু সমান জল দাঁড়িয়েছে ঘরে-বাইরে সর্বত্র। চাষের মাঠ যেন নদীর চেহারা নিয়েছে। কয়েক ফুট জলে তলিয়ে গিয়েছে ধান ক্ষেত।জলের স্রোত বইছে যেন রাস্তার উপর দিয়ে। ইতিমধ্যে কয়েক শো পরিবার জলবন্দি হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। দুর্গত পরিবারগুলিকে ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
শুধু নন্দীগ্রাম নয়, ওপারে হলদিয়া মহকুমার কুঁকরাহাটি, মহিষাদল, কেশবপুর জলপাইয়ের বিভিন্ন জায়গায় জল ঢুকে গিয়েছে। এর পাশাপাশি গেঁওখালি, অমৃতবেরিয়া, বেনিপুর, রূপনারায়ণ নদীর জল স্তর বাড়ায় বিপাকে প্রায় দুই নদী উপকূলের প্রায় ১ হাজার ৫০০ পরিবার বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে। তবে প্রশাসনিক স্তরে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
হলদিয়ায় বসবাসকারী এক বাসিন্দা বলেন, ‘এখানে রাস্তাঘাটের অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছে। এখন গাড়ি চলছে না। বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। বারবার বলেছিলাম বাঁধ মেরামত করতে। কোনও কথাই শোনে না। এখানে প্রচুর মানুষ বসবাস করেন। এখনও ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়নি। আমরা কী করব, কোথায় যাব বলুন?’ অপরদিকে, এক তৃণমূলের বুথ সভাপতি বলেন, ‘এখানে জোয়ারের জলে প্রায় চল্লিশটি পরিবার জলমগ্ন। এলাকা ঘুরে দেখেছি। আমি মানুষকে আশ্বস্ত করলাম ব্লকে জানিয়েছি, অঞ্চলে জানিয়েছি। আগামিকালের মধ্যে যতটা পারি ত্রাণের ব্যবস্থা করব।’