Haldia Municipality: দুর্নীতির দায়ে হলদিয়ার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শ্যামল আদকের সহযোগী প্রাক্তন কাউন্সিলর গ্রেফতার
Haldia Municipality: হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের ভবানীপুর থানায় হলদিয়া পৌরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান শ্যামল আদকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয় আগেই।
পূর্ব মেদিনীপুর: হলদিয়ার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শ্যামল আদকের সহযোগী,কমিটির চেয়ারম্যান ও প্রাক্তন কাউন্সিলর সত্যব্রত গ্রেফতার। হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের ভবানীপুর থানায় হলদিয়া পৌরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান শ্যামল আদকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয় আগেই। সেই অভিযোগ হলদিয়ার এক নির্মাণ সংস্থার মালিক অরুণাংশু মুখোপাধ্যায়ের। জানা যাচ্ছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ এবং ঘাটাল পুরসভা এলাকার কাজে ভুয়ো নথি দেখিয়ে তাঁর সংস্থার নামে ৮৬ লক্ষ ২৯ হাজার টাকার ক্রেডেনসিয়াল তৈরি করা হয়েছে। এই মামলারই তদন্তে নেমে ১২ সদস্যের সিট গঠন করেছে জেলা পুলিশ আগেই। বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন হলদিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্রদ্ধা পাণ্ডে।
এই তদন্তকারী টিমে রয়েছেন ডিএসপি পদমর্যাদার এক আধিকারিক, তিন জন ইন্সপেক্টর এবং সাত জন সাব ইন্সপেক্টর। তদন্তকারী দলে ভবানীপুর, দুর্গাচক, মহিষাদল ও হলদিয়া মহিলা থানার ওসিরাও আছে বলে জানা গেছে । তৎপরতার সঙ্গে চলছে তদন্ত।
হলদিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্রদ্ধা পাণ্ডে জানিয়েছেন “শ্যামল আদকের বিরুদ্ধে হওয়া মামলায় এ পযর্ন্ত দেড় হাজার ফাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দুর্নীতি হয়েছে। অস্বচ্ছতা রয়েছে।” প্রায় দিনই তৎকালীন সময়ে বোর্ড অফ কাউন্সিলরদের ডাকা হয় বিভিন্ন তথ্য জানার জন্য। বুধবার হলদিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর সত্যব্রত দাস, যিনি বর্তমান বিজেপি নেতা, তাঁকে ডাকা হয়। তিনি সে সময় টেন্ডার কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন বলেও জানা যাচ্ছে। সত্যব্রতকে ডাকা হয় ভবানীপুর থানায়। দীর্ঘক্ষণ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রাত পৌনে বারোটা নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে তাঁকে দুর্গাচক থানায় রাখা হয়ছএ বলে জানা গিয়েছে। জেরায় বেশ কিছু তথ্যে অসঙ্গতি পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। পুলিশ তদন্তের স্বার্থে এখনও কিছু প্রকাশ্যে আনতে চায়নি।