Haldia Sramik Kalyan: হলদিয়া শ্রমিক স্বার্থ রক্ষার্থে কড়া প্রশাসন, অভিযোগ জানাতে চালু টোল ফ্রি নম্বর
Haldia Sramik Kalyan: রবিবার সন্ধ্যায় হলদিয়ার ঠিকাদারদের সভা করে একথা সাফ জানিয়ে দিলেন হলদিয়ার পুলিশ আধিকারিক।
হলদিয়া: হলদিয়াতে শ্রমিক স্বার্থ রক্ষায় কড়া প্রশাসন। ১লা জুনের মধ্যেই শ্রমিক বকেয়া না মিটলে আইনি ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। হলদিয়ায় শ্রমিকদের অভিযোগ জানানোর জন্য চালু হচ্ছে হেল্পলাইন নম্বরও। জানালেন মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রাহুল পাণ্ডে। ২৮ মে জেলার শিল্পতালুকে দাঁড়িয়ে সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “জুনের ১ তারিখের মধ্যে এ যাবৎ সব পাওনা গণ্ডা মিটিয়ে ফেলতে হবে শ্রমিকদের।” তেমনি নির্দেশের কথা মাথায় রেখেই শিল্প শহরে শ্রমিক ঠিকাদারদের নিয়ে বৈঠক করা হয় রবিবার।
জানা গিয়েছে, ঠিকাদার সংস্থা শ্রমিকদের সঙ্গে প্রতারণা করলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। নেওয়া হবে আইনি পদক্ষেপও। ১ জুনের মধ্যে শ্রমিকদের সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দিতে হবে। না হলে ভারতীয় দণ্ডবিধির মতে প্রতারণার মামলা করা হবে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে । সেই মর্মে রবিবার সন্ধ্যায় হলদিয়ার ঠিকাদারদের সভা করে একথা সাফ জানিয়ে দিলেন হলদিয়ার পুলিশ আধিকারিক।
হলদিয়ার মঞ্জুশ্রী মোড়ে কুমারচন্দ্র জানা প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত সভায় হলদিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্রদ্ধা পাণ্ডে, এসডিপিও রাহুল পাণ্ডে, সিআই মানবেন্দ্র পাল, দুর্গাচক থানার ওসি রাজকুমার দেবনাথ,ভবানীপুর থানার ওসি মহিউল ইসলাম, সুতাহাটা থানার ওসি বিনয় মান্না এবং হলদিয়া থানার আইসি সৌগত রায়েরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিন ৩০০ ঠিকাদের উপস্থিতিতে এই পুলিশের পক্ষ থেকে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে । হলদিয়ার এসডিপিও রাহুল পাণ্ডে স্পষ্ট বলেন, “কারখানার উৎপাদন যাতে ব্যাহত না হয়, সেজন্য আমরা শ্রমিকদের সাবধান করেছি । ঠিক উল্টো দিকে শ্রমিকরা যাতে তাঁদের প্রাপ্য বকেয়া টাকা -পয়সা থেকে বঞ্চিত না হয়, সেজন্য শ্রমিক নিয়োগকারী ঠিকাদারদের সতর্ক করলাম।” ১লা জুনের আগেই শ্রমিকদের সমূহ বকেয়া টাকা মিটিয়ে দিতে বলা হয়েছে । তা না হলে শ্রমিকরা অভিযোগ করলে পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নেবে।
শ্রমিকদের কোনও ঠিকাদার ঠকালে, পার্শ্ববর্তী থানায় সেই শ্রমিক অভিযোগ জানাতে পারেন। এই পদক্ষেপে শ্রমিকদের অভিযোগ জানতে হেল্পলাইন চালু করা হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে। সব মিলিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি পর প্রশাসন কার্যত একশো শতাংশ বাস্তবায়ন করার লক্ষ্য নিয়ে নেমে পড়েছে বলেই বলা চলে। শ্রমিকদের মুখে চওড়া হয়েছে হাসি।