Panshkura Death: বন্ধ ঘরে ‘এই’ করছিলেন স্বামী-স্ত্রী, আসল ঘটনা শুনে চোখ কপালে পুলিশের
Purba Medinipur: লাগাতার পারিবারিক অশান্তির জের। স্ত্রীকে লোহার বাট দিয়ে পিটিয়ে খুন। শুধু তাই নয়, এরপর আত্মঘাতী স্বামী।
পূর্ব মেদিনীপুর: মদ খেয়ে বাড়িতে আসতেন নিত্যদিন। তারপর চলত লাগাতার অশান্তি। সেই অশান্তির পরিণতি এমন ভয়ঙ্কর হবে কে জানত!
লাগাতার পারিবারিক অশান্তির জের। স্ত্রীকে লোহার বাট দিয়ে পিটিয়ে খুন। শুধু তাই নয়, এরপর আত্মঘাতী স্বামী। ঘটনাটি পূর্ব মেদিনীপুরের পাশঁকুড়ার হাউরের পুরুল গ্রামের। সেখানেই বাস করত নারায়ণ জানা ও তার স্ত্রী চন্দনা জানা। শনিবার ভোর ৩টে নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। জানা গিয়েছে, ঘরের দরজা বন্ধ করে প্রতিদিন তারা অশান্তি করত। এলাকাবাসী সূত্রে খবর, নারায়ণ নিত্যদিন মদ খেয়ে বাড়িতে আসত। সেই কারণেই সংসারে অশান্তি লেগেছিল। শনিবারও মদ্যপান করে বাড়িতে এলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা শুরু হয়। পরে তা হাতাহাতিতে পরিণত হয় দু’জনের মধ্যে।
এরপরই দাড়িপাল্লার ভারী বাঁট দিয়ে স্ত্রীর চন্দনা মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই মহিলার। স্ত্রীকে মেরে ফেলার পর স্বামী নিজে বিষ খেয়ে ফেলে। এদিকে, চন্দনা জানার খুনের খবর জানাজানি হয় গোটা এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছায় পুলিশ। নারায়ণকে গ্রেফতার করে তারা। এবার পুলিশ বাড়ি থেকে তাকে থানার উদ্দেশে নিয়ে গেলে সেই সময় নারায়ণ পুলিশকে জানায়, সে বিষ খেয়েছে। তড়িঘড়ি পাঁশকুড়া থানার পুলিশ তাঁকে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে সেখানেই মৃত্যু হয় ওই নারায়ণ জানার।
পুলিশ সূ্ত্রে খবর, মৃত চন্দনা জানার বয়স ৩৮। মৃত নারায়ণ জানার বয়স আনুমানিক ৪৮ বছর। পুলিশ দু’টি মৃতদেহকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “সকালবেলা খবর পাই মেয়েটি মারা গিয়েছে। তখন আমরা ওর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে এলাকায় যাই। শুনি পুলিশ এসেছে। তারপর পুলিশের কাছ থেকেই জানতে পারি মেয়েটিকে মেরে বিষ খেয়ে নিয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। ওদের সংসারে দীর্ঘদিন ধরেই অশান্তি চলছিল।”