Lok Sabha Election 2024: কেন টার্গেট পূরণ হল না, নিজেই জানালেন শুভেন্দু

Lok Sabha Election 2024 Result: রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের তুলনায় একটি আসন হলেও বেশি পাবেন, এই বিশ্বাস ছিল বিজেপির। সেই কথাই জানান শুভেন্দু। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও একই লক্ষ্যের কথা বলেছিলেন, সেটাও তুলে ধরেন শুভেন্দু। বাংলায় প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল না হওয়ার কারণ হিসেবে এগুলিই মূলত বলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির তরফে 'আতঙ্ক' কাটানোর চেষ্টা হয়েছিল, সে কথাও জানান।

Lok Sabha Election 2024: কেন টার্গেট পূরণ হল না, নিজেই জানালেন শুভেন্দু
Image Credit source: OWN PHOTOGRAPH
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 04, 2024 | 11:37 PM

লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বড় টার্গেট ছিল বিজেপির। কিন্তু বলার অপেক্ষা রাখে না যে সেই টার্গেট পূরণ হয়নি। প্রাথমিক ভাবে বাংলা থেকে ৩৫ আসনের লক্ষ্যের কথা জানিয়েছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তারপর সেটা কমে ৩০ হয়। আর এদিনের ফলে তা আরও কমে দাঁড়ায় ১২টি আসনে। ২০১৯-র থেকে যা অনেকটাই কম। মঙ্গলবার ফলাফল স্পষ্ট হওয়ার পর সাংবাদিক সম্মেলনে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা বঙ্গ বিজেপির শীর্ষসারির নেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজেদের টার্গেট এবং তা পূরণ না হওয়ার নানা কারণ তুলে ধরেন। তবে সার্বিক ভাবে দেশের ফলে সন্তুষ্টির কথাই জানিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। বাংলার যে সমস্ত মানুষ, বিজেপির উপর আস্থা রেখেছেন, তাঁদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন তিনি। প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ার মূল কারণ হিসেবে এদিন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ফ্যাক্টরের কথাই তুলে ধরেছেন শুভেন্দু।

রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের তুলনায় একটি আসন হলেও বেশি পাবেন, এই বিশ্বাস ছিল বিরোধী দলনেতার। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও একই লক্ষ্যের কথা বলেছিলেন, সেটাও মনে করিয়ে দেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘আমরা যে লক্ষ্যস্থির করেছিলাম, বাংলায় সেই সংখ্যা পাইনি। কিন্তু আমরা এই নির্বাচনে শতকরা যত ভাগ ভোট পেয়েছি, তাতে খুশি। প্রচুর মানুষ পশ্চিম বাংলায় ভারতীয় জনতা পার্টির উপর আস্থা রেখেছেন। এবং তাঁদের কাছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিকল্প শক্তি হিসেবে ভারতীয় জনতা পার্টির ২০১৯ এবং ২০২১ সালেও স্বীকৃত ছিল এবং আজকেও স্বীকৃতি পেয়েছে।’

লক্ষ্য পূরণ না হওয়ার কারণ হিসেবে শুভেন্দু বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি, যে ভয় ভীতির পরিবেশ, কয়েক লক্ষ ভোটারকে আটকে দেওয়া, সীমাহীন পুলিশি অত্যাচার, জুলুম, মিথ্যা মামলা এসব কারণ রয়েইছে। মুখ্যমন্ত্রী সহ তাঁর দলের ছোট-বড় নেতারা প্রকাশ্যে বলেছেন যে তৃণমূল কংগ্রেস যদি জিততে না পারে, নানা প্রকল্প তথা বেনিফিটগুলো বন্ধ করে দেবে। তাঁরা উদাহরণ হিসেবে সাগরদীঘি উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের পরাজয়ের পরে লক্ষ্মীর ভণ্ডার বন্ধের নজিরও দিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, আপনারা এই যে হাজার-বারোশো টাকা পাচ্ছেন, সেগুলো আমরা বন্ধ করে দেব। সাধারণ প্রান্তিক মানুষ, গ্রামের মা-দিদি বোনের মধ্যে একটা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল।’

বাংলায় প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল না হওয়ার কারণ হিসেবে এগুলিই মূলত বলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির তরফে ‘আতঙ্ক’ কাটানোর চেষ্টা হয়েছিল, সে কথাও জানান। বলেন, ‘আমরা বিজেপি রাজ্যগুলোর উদাহরণ দিয়েছি, পশ্চিমবঙ্গে ডাবল ইঞ্জিন সরকার তৈরি হলে আরও বেশি সহযোগিতা করব, জনমুখী প্রকল্পগুলো চালু থাকবে, অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে আমরা কাজ করব। আমাদের মাননীয় মন্ত্রী অমিত শাহজীও একটি সভা থেকে বলে গিয়েছিলেন। এই যে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলো, এগুলো আমরা বন্ধ করব না, এর অর্থ বৃদ্ধি ঘটবে।’ কিন্তু শুভেন্দুরা যেমনটা ভেবেছিলেন, বাংলার মানুষের একটা বড় অংশ যে তেমনটা ভাবেননি, তা এদিনের ফলাফলেই পরিষ্কার।