Tamluk Hospital Deadbody: সরকারি হাসপাতালের বাইরে কাপড়ে মোড়া শতাধিক লাশ, ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ

Tamluk Hospital Deadbody: মেডিক্য়াল কলেজের অধ্যক্ষা শর্মিলা মল্লিক জানিয়েছেন, দেহগুলি মর্গের বাইরে বের করা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ঢোকানো হয়নি মর্গে। অযত্নে অবহেলায় ফেলে রাখা হয়েছে সেগুলি। পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে হাসপাতাল চত্বর সহ গোটা এলাকায়।

Tamluk Hospital Deadbody: সরকারি হাসপাতালের বাইরে কাপড়ে মোড়া শতাধিক লাশ, ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ
তমলুক মেডিক্যাল কলেজImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 22, 2023 | 4:49 PM

তমলুক: রূপনারায়ণের ধারে গর্ত খুঁড়ে মৃতদেহ সৎকারের ব্যবস্থা করা হচ্ছিল প্রশাসনের পক্ষ থেকে। কিন্তু, রাত থেকে তাতে বাধা দিচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাত পোহালেও মৃতদেহের কোনও ব্যবস্থা হয়নি। দেহগুলি পড়ে রয়েছে মর্গের ঠিক বাইরে। সেগুলি থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়েছে, এই দেহগুলি সৎকার করার দায়িত্ব এখনও প্রশাসনের। বৃহস্পতিবার রাতেই দেহ সৎকারের কথা ছিল। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের জন্য বন্ধ হয়ে যায় সেই সৎকারের প্রক্রিয়া। তাম্রলিপ্ত গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গের বাইরে একটি ঘরে কাপড়ে বেঁধে রাখা হয়েছে দেহগুলি।

মেডিক্য়াল কলেজের অধ্যক্ষা শর্মিলা মল্লিক জানিয়েছেন, দেহগুলি মর্গের বাইরে বের করা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ঢোকানো হয়নি মর্গে। অযত্নে অবহেলায় ফেলে রাখা হয়েছে সেগুলি। পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে হাসপাতাল চত্বর সহ গোটা এলাকায়। অধ্যক্ষা জানিয়েছেন, অনেক ধরে দেহগুলি পড়ে ছিল। বারবার প্রশাসনকে বলার পর এই ব্যবস্থা করা হয়। তবে পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা এ বিষয়ে তেমন কিছু জানেই না। তমলুক পুর সংস্থার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্র নারায়ণ রায় জানিয়েছেন, তিনি এ ব্যাপারে কিছু জানেন না।

আসলে গর্ত খোঁড়া ঘিরেই যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত। তমলুক শহরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। এলাকাবাসীদের দাবি ৩০০ বেওয়ারিশ লাশ পোঁতা হবে বলে জানতে পেরেছেন তাঁরা। যেখানে গর্ত খোঁড়া হয়েছে, সেটি সরকারি জমি বলেই জানা গিয়েছে। গর্ত খোঁড়া নিয়ে কোনও জটিলতা থাকার কথা নয়। কিন্তু এলাকাবাসীদের বক্তব্য, নদীর পাড়ে শিশুরা খেলাধুলো করে। তাই ওখানে লাশ পুঁততে দিতে চায় না তারা।

এলাকাবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পিছু হটে প্রশাসন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর কানাইলাল দাসও। পুরসভার বিরোধী নেত্রী, তথা ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর জয়া দাস নাগও। এলাকাবাসীদের ক্ষোভ প্রশমন করতে ব্যস্ত দুই কাউন্সিলরই। বৈদ্যুতিক চুল্লিতে না পুড়িয়ে স্থানীয় মানুষদের হেনস্থা করা হচ্ছে কেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।