Soumen Mahapatra: ‘মাওবাদীদের অস্তিত্বই নেই, বিরোধীরাই ওদের নাম করে পোস্টার দিচ্ছে’
Purba Medinipur: রাজ্যের সেচ ও জলপথ দফতরের মন্ত্রী সৌমেন কুমার মহাপাত্র জানান, 'জঙ্গল মহলে বিরোধী পক্ষের মানুষ মাওবাদী পোস্টার দিচ্ছেন। মাওবাদী বলে কিছু নেই।'
পূর্ব মেদিনীপুর: শুক্রবার বাংলা বনধ ডেকেছিল মাওবাদীরা। বনধের জেরে বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরের একাংশে যথেষ্ঠ প্রভাব পড়ে। সকাল থেকেই ওই এলাকাগুলিতে কড়া পাহাড়া দেয় পুলিশ। বন্ধ থাকে দোকানপাঠ, বাজার এলাকা। মাওবাদীদের ডাকা সেই বনধের জেরে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে তাহলে কি ফের সক্রিয় হচ্ছে মাওবাদ? এই প্রশ্নই যখন ঘোরাঘুরি করছে সেই সময় পূর্ব মেদিনীপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের সেচ ও জলপথ দফতরের মন্ত্রী সৌমেন কুমার মহাপাত্র জানান, ‘জঙ্গল মহলে বিরোধী পক্ষের মানুষ মাওবাদী পোস্টার দিচ্ছেন। মাওবাদী বলে কিছু নেই।’ একই সঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘রাজ্যের বিরোধী নেতা অবসাদে ভুগছেন, অবসাদ কাটাতেই তো ভুলভাল বকছেন।’
একের পর এক শাসকদলের নেতাকে সিবিআই ডাকছে। সেই পরিপেক্ষীতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলছেন ‘চোর ধর,জেলে ভর।’ বিরোধী দলনেতার এই ধরনের মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রাজ্যের সেচ ও জলপথ দপ্তরের মন্ত্রী সৌমেন কুমার মহাপাত্র বলেন, “শুভেন্দু এখন অবসাদে ভুগছে। অবসাদ থেকে কাটিয়ে উঠতে এবং প্রচারের আলোয় আসতে ধরনের ভুলভাল বকে চলেছেন। এই কথা বলে যদি উনি তৃপ্তি পান তাহলে বলতে থাকুক।”
এরপরই মাওবাদীদের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গলমহলে মাওবাদী বলে কেউ নেই। জঙ্গলমহলের অনুন্নয়নকে হাতিয়ার করে এক সন্ত্রাসবাদী দল গড়ে উঠেছিল। তাঁদের সরলতার সুযোগ নিয়েছিল অনেকেই। তবে ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়েছিলেন। এখন উন্নয়নের জওয়ার বইছে। মাওবাদী বলে কেউ নেই। কিছু বিরোধী পক্ষের মানুষ মাওবাদীদের নাম করে পোস্টার দিচ্ছে আর সন্ত্রাস করে চলেছে।” শনিবার হলদিয়ার চৈতন্যপুরে পূর্ব মেদিনীপুর শিক্ষক শিক্ষণ মহাবিদ্যালয়ের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন কুমার মহাপাত্র এমনই মন্তব্য করেন। এদিন মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক তুষারকান্তি মণ্ডল, সমাজসেবি পার্থ বটব্যাল সহ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষিকা সহ অন্যান্যরা। এদিন কোভিড কাটিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মেতে ওঠেন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত পড়ুয়ারা।