Nandigram: বিজেপির সমর্থনেই পঞ্চায়েতের প্রধান শেখ সুফিয়ানেই জামাই, আরও স্পষ্ট শুভেন্দুর পোস্টে
Panchayat Board in Nandigram: শনিবার সকালে শুভেন্দু অধিকারীর একটি পোস্ট করেছেন ফেসবুকে। তাতে তিনি লিখেছেন, 'পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মোট ৬৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতে সরাসরি বিজেপির প্রধান ও উপপ্রধান নির্বাচিত হয়েছে। বাকি ১৪টি পঞ্চায়েতে আমাদের সমমনোভাবাপন্ন মেম্বারদের সমর্থনে বোর্ড গঠিত হয়েছে।'
নন্দীগ্রাম: জেলায় জেলায় পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের পর্ব চলছে। আর এরই মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের সমীকরণ উঠে আসছে। কোথাও তৃণমূলের সদস্যকে সমর্থন দিচ্ছে বিজেপি। কোথাও আবার কংগ্রেসকে সমর্থন দিচ্ছে তৃণমূল। এ এক বিচিত্র অবস্থা। আর এরই মধ্যে জোর চর্চা চলছে নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের মহম্মদপুর গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে। সেখানে প্রধান পদে বসেছেন শেখ সুফিয়ানের জামাই শেখ হাবিবুল। অভিযোগ উঠছে, বিজেপি সমর্থন নিয়ে প্রধান হয়েছেন হাবিবুল। বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব আগেই সে কথা বলেছে। আর তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের ক্ষোভের মুখে সে কথা মেনে নিয়েছে শাসক দলের ব্লক নেতৃত্বও। আর এবার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর ফেসবুক পোস্ট থেকেও স্পষ্ট হল সেই তত্ত্ব।
শনিবার সকালে শুভেন্দু অধিকারীর একটি পোস্ট করেছেন ফেসবুকে। তাতে তিনি লিখেছেন, ‘পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মোট ৬৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতে সরাসরি বিজেপির প্রধান ও উপপ্রধান নির্বাচিত হয়েছে। বাকি ১৪টি পঞ্চায়েতে আমাদের সমমনোভাবাপন্ন মেম্বারদের সমর্থনে বোর্ড গঠিত হয়েছে।’ সঙ্গে গ্রাম পঞ্চায়েত ভিত্তিক একটি তালিকাও পোস্ট করেছেন শুভেন্দু। সেখানে দেখা যাচ্ছে, মহম্মদপুরের প্রধান পদের জায়গায় লেখা রয়েছে, ‘বোর্ড ফর্মড উইথ সাপোর্ট।’ উল্লেখ্য, পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন নিয়ে বিজেপির কী অবস্থান, তা গতকালও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাঁর বক্তব্য ছিল, যেসব জায়গায় বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই, সেই সব জায়গায় তৃণমূলের অফিশিয়াল প্যানেলের বাইরে যিনি থাকবেন, তাঁকেই সমর্থন করা হবে।
এদিকে মহম্মদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ঘিরে তৃণমূল ও বিজেপি উভয় দলের হুইপই ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে। তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের হুইপে সুফিয়ানের জামাইকে সমর্থনের কথা উল্লেখ ছিল না। সেখানে নাম ছিল শাহনওয়াজ আলি খানের। আবার বিজেপির জেলা নেতৃত্বের হুইপে বলা হয়েছিল, শেখ হাবিবুলকে বোর্ড গঠনে সমর্থন করার জন্য। এই নিয়ে গতকালই নন্দীগ্রাম ব্লক তৃণমূল অফিসের বাইরে একপ্রস্থ বিক্ষোভ দেখিয়েছেন শাসক দলেরই কর্মী-সমর্থক ও জয়ী সদস্যদের একাংশ। তাঁদের দাবি, অফিশিয়াল প্যানেলে থাকা ব্যক্তিকেই প্রধান করতে হবে। আর এই নিয়ে বেশ বিড়ম্বনায় পড়েছে তৃণমূলের ব্লক নেতৃত্ব। অস্বস্তির পরিবেশ যে তৈরি হয়েছে, তা ব্লক সভাপতির কথাতেই স্পষ্ট। তিনিও জানাচ্ছেন, বিষয়টি নিয়ে উর্ধ্বতন নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।
শুভেন্দু অধিকারীর এদিনের ফেসবুক পোস্টের পর ফোনে যোগাযোগ করা হয়েছিল শেখ সুফিয়ানের সঙ্গেও। তবে বিষয়টিকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে নারাজ তিনি। বলছেন, ‘আমাদের ১২ জন সদস্য। আর বিজেপির ৬ জন। আমাদের ১২ জন সদস্যের মধ্যে ভোটাভুটি। বিজেপি কোনও রাস্তা না পেয়ে, যাকে পেরেছে ভোট দিয়েছে। এসব নিয়ে আমাদের কোনও আফশোস নেই। বিজেপি কোনও রাস্তা না পেয়ে যেখানে সেখানে যাকে-তাকে ভোট দিচ্ছে। ওরা কাকে ভোট দিল, তা আমরা কী জানি! ওদের সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই।’