‘নির্লজ্জ বেহায়া সরকারের’ সঙ্গে পদ্মের সংঘর্ষে ভাঙল ঘর, জখম একাধিক

Post Poll Violence: গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, শুক্রবার আচমকা বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে চড়াও হয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। কেন বিজেপি করা হচ্ছে এই নিয়ে বচসা শুরু হলে স্থানীয় বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ মাইতি সেই বচসায় জড়িয়ে পড়েন।

'নির্লজ্জ বেহায়া সরকারের' সঙ্গে পদ্মের সংঘর্ষে ভাঙল ঘর, জখম একাধিক
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jul 02, 2021 | 9:20 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনের উত্তাপ এখনও স্তিমিত হয়নি। ভোট মিটলেও জারি সন্ত্রাস( Post Poll Violence)। ভগবানপুর বিধানসভার দক্ষিণ মহিষদা, কামগেড়িয়া ও দিঘাদাড়ি এলাকার বরোজ ও অর্জুন নগরে বিজেপি করার অপরাধে পদ্ম কর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও মারধর করার অভিযোগ উঠল শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে।

গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, শুক্রবার আচমকা বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে চড়াও হয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। কেন বিজেপি করা হচ্ছে এই নিয়ে বচসা শুরু হলে স্থানীয় বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ মাইতি সেই বচসায় (TMC BJP Clash) জড়িয়ে পড়েন। লাঠি, রড, ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই অচৈতন্য হয়ে পড়েন বিশ্বজিৎ। তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আরও অভিযোগ, বিশ্বজিৎ-সহ একাধিক বিজেপি কর্মীর বাড়িতেও ব্যাপক ভাঙচুর চালায় ওই দুষ্কতীরা। ভাঙচুর হামলার ঘটনায় একাধিক বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের।

ঘটনায়, বিজেপি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে একটা জল্লাদের সরকার চলছে। আজকে আমাদের সক্রিয় কর্মীদের উপর আঘাত করা হয়েছে। বিশ্বজিৎ গুরুতর জখম। একটা নির্লজ্জ বেহায়া সরকার রাজ্য চালাচ্ছে আর তার পায়ে তেল দিয়ে চলছে পুলিশ প্রশাসন। আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমরা এর শাস্তি চাই।” গেরুয়া শিবিরের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা তৃণমূল জেলা কো-অর্ডিনেটর মামুদ হোসেন জানিয়েছেন, এই ঘটনায় তৃণমূলের কেউ যুক্ত নেই। তবে এই ধরনের হিংসার ঘটনা ন্যাক্কারজনক। দ্রুত এই ঘটনার বিচার হওয়া প্রয়োজন। তবে, বিজেপি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শাসক শিবিরের দিকে আঙুল তুলছে। এই ঘটনায় তৃণমূলের কেউ যুক্ত নেই।

উল্লেখ্য, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে ইতিমধ্যেই তুঙ্গে শাসক-বিরোধী তরজা। সেই তরজার জল গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। শুক্রবার বিধানসভার প্রথম অধিবেশনে, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের ভাষণ শুরু হওয়ার সময়ই রাজ্যের বিরোধী বিজেপি দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ অন্যান্য বিজেপি বিধায়করা পোস্টার দেখিয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন। বিজেপির তরফে শুভেন্দু জানান, রাজ্যপালের ভাষণে কোথাও ভোট পরবর্তী হিংসার উল্লেখ ছিল না। যেহেতু, বিধানসভায় রাজ্যপাল সরকার প্রদত্ত খতিয়ানই তাঁর ভাষণে পেশ করেন তাই মমতা সরকারের তরফে এ নিয়ে কোনও বক্তব্য যে থাকবে না তা জানা ছিল। তাই তাঁরা প্রতিবাদ করেন। যদিও, সূত্রের খবর, রাজ্যপালকে প্রদত্ত ওই খতিয়ানে সরকারের তরফে ভোট পরবর্তী হিংসা ও তা নিয়ে রুজু হওয়া মামলার উল্লেখ ছিল।

আরও পড়ুন: ‘দল চালাতে গেলে টাকা নিতে হয়’, বেফাঁস মন্তব্য পঞ্চায়েত প্রধানের, ‘পদ যেতে পারে’, শাসন সুব্রতর

TV9 EXCLUSIVE

১০ লক্ষ টাকার ‘স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড’ কারা পাবেন? কী ভাবে করবেন আবেদন?

ডায়েরির পাতার ভাঁজে আডবাণী, যশবন্তদের নাম, কী সেই ‘হাওয়ালা-জৈন’ মামলা?

সরষের ভেতরেই ভূত! ১ বছরে রান্নার তেলের দাম বাড়ল ৬৩ টাকা, কীভাবে?

কোভ্যাক্সিন তৈরিতে বাছুরের প্লাজমা? আসল সত্যিটা জানুন

ভেনেজুয়েলায় ১ টাকায় পেট্রল, ভারতে ১০২! নেপথ্যে কার কারসাজি?