Sukanta Majumdar: ‘রাজ্য়ের পর্যটনে ক্ষতি হবে’, দিঘার ঘটনায় আশঙ্কা প্রকাশ সুকান্তর
Sukanta Majumdar: উল্লেখ্য, রবিবার এক প্রেমিক ও প্রেমিকা দিঘায় বেড়াতে আসেন। রাত্রিবেলা বাইকে চড়ে আসা দুই যুবক তাঁদের কম দামে হোটেলের রুম বুক করে দেওয়ার কথা বলেন। যুগল তাঁদের সেই কথায় রাজি হয়ে যায়। অভিযোগ, দিঘাশ্রীর কাছে নিয়ে গিয়ে একটি জঙ্গলে প্রথমে যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করা হয়।
কনিষ্ক মাইতি
দিল্লি: পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায় যুবতীকে ধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। প্রেমিককে গাছে বেঁধে তাঁর সামনেই বান্ধবীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। এই নিয়ে বুধবার পথে নামতে চলছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি দিঘার ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
আজ দিল্লিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয় বিজেপি-রাজ্য সভাপতি। দিঘার ধর্ষণের ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তিনি রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির অভিযোগ করেন। পাশাপাশি দিঘার ঘটনায় রাজ্যের পর্যটনের ক্ষতি হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। বিজেপি সাংসদ বলেন, “দিঘা অন্যতম উল্লেখযোগ্য পর্যটন স্থল আমাদের রাজ্যে। ওইখান থেকে রাজ্য মূলধন লাভ করে। এই সব হলে আগামী দিনে রাজ্য সরকারের ক্ষতি হবে। রাজ্যের কোষাগারের ক্ষতি হবে। সাধারণ মানুষের ক্ষতি হবে।”
উল্লেখ্য, রবিবার এক প্রেমিক ও প্রেমিকা দিঘায় বেড়াতে আসেন। রাত্রিবেলা বাইকে চড়ে আসা দুই যুবক তাঁদের কম দামে হোটেলের রুম বুক করে দেওয়ার কথা বলেন। যুগল তাঁদের সেই কথায় রাজি হয়ে যায়। অভিযোগ, দিঘাশ্রীর কাছে নিয়ে গিয়ে একটি জঙ্গলে প্রথমে যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করা হয়। তারপর প্রেমিকের সামনেই মেয়েটিকে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। দুই অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করে দিঘা থানার পুলিশ। সোমবার অভিযুক্তদের কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তার জামিন নাকচ করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি ধর্ষিতা যুবতীর গোপন জবানবন্দি গ্রহণ করেন কাঁথি আদালতের বিচারক।
এই ঘটনায় বাম নেতা ঝাড়েস্বর বেরা বলেন, “বাংলায় নারী নির্যাতন বাড়ছে। দিঘা বা চন্ডিপুর নয় সর্বত্রই বাড়ছে খুন ধর্ষণের পালা। নামেই শুধু এগিয়ে বাংলা বলা হচ্ছে কিন্তু বাংলা পিছিয়ে যাচ্ছে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থাকার পরও।” কাঁথি সাংগঠনিক জেলার বিজেপি নেতৃত্ব শান্তি রঞ্জন জানা বলেন, “বাংলায় নারী সুরক্ষা বলে কিছু নেই। বাংলায় কোথাও মহিলারা নিরাপদে বাড়ির বাইরে বেরাতে পারেন না। এই ঘটনা শুধু দিঘা নয়,সারা বাংলার লজ্জা। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে মহিলারা নিরাপদ নয়।” রামনগর ১ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা নিতাই চরণ সার বলেন, “খুবই নক্কারজনক ঘটনা। পঞ্চায়েত থেকে পঞ্চায়েত সমিতি নজর রাখব আগামী দিনে। আজ বিকেলে পর্ষদ প্রশাসন সহ হোটেল, হকার, রিকশাচালক সকলকে নিয়ে বিশেষ বৈঠকে বসছি বিকেলে। দিঘা থানার নৈশ্য প্রহরী থাকে। দিঘা খানার পুলিশের সঙ্গে কথা বলছি, দোষীরা যাতে কঠোরতম শাস্তি পায় তার ব্যবস্থা করবে বলেই আশ্বাস দিয়েছে।”