Tamluk: ২০ বছর পর সেই পদমপুর হাতছাড়া তৃণমূলের, বিজেপি-বামে নির্দলের বোর্ড

Padampur: পদমপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ২০টি আসন। সেখানে তৃণমূল ৯টি, নির্দল ৫টি, সিপিএম ৩টি, বিজেপি ৩টি আসনে জয়ী হয়। এককভাবে তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও, বিরোধীরা এককাট্টা হয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়।

Tamluk: ২০ বছর পর সেই পদমপুর হাতছাড়া তৃণমূলের, বিজেপি-বামে নির্দলের বোর্ড
পদমপুরে বিজেপি, বাম, নির্দল মিলে বোর্ড গড়ল। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 12, 2023 | 10:01 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: তমলুকের সেই পদমপুর গ্রামপঞ্চায়েত। যে পঞ্চায়েত বারবার শিরোনামে এসেছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা সফরকে কেন্দ্র করে। সেই পদমপুর-১ গ্রামপঞ্চায়েত ২০ বছর পর এবার শাসকদলের হাতছাড়া। সবাইকে রীতিমতো চমকে দিয়ে সেখানে বোর্ড গড়ল নির্দল। নির্দলের পাশে দাঁড়াল বাম-বিজেপি। একইসঙ্গে তমলুকে গঠিত হল নির্দলের গ্রামপঞ্চায়েত। গত জুন মাসে তখন জেলা সফরে অভিষেক। মানসী দাস নামে প্রাক্তন প্রধানের বিরুদ্ধে অভিষেকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন পদমপুরের লোকজন। এরপরই শোনা যায়, দল মানসীকে পদ ছাড়ার নির্দেশ দেয়। অন্যদিকে এখানকার উপপ্রধানের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এক মাস জেলে থেকে জামিন পান তিনি। সেই এলাকায় এবার নির্দলের বোর্ড। জেলার একমাত্র বোর্ড, যেখানে প্রধান-উপপ্রধান দু’জনই নির্দলের। কুরপাই দক্ষিণ বুথ থেকে জয়ী নির্দল প্রার্থী দোলন মাইতি প্রধান হলেন, অন্যদিকে মিরিকপুর দেশবন্ধু বুথের নির্দল প্রার্থী সুদর্শন মাজি হলেন উপপ্রধান।

পদমপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ২০টি আসন। সেখানে তৃণমূল ৯টি, নির্দল ৫টি, সিপিএম ৩টি, বিজেপি ৩টি আসনে জয়ী হয়। এককভাবে তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও, বিরোধীরা এককাট্টা হয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়। আর তাতেই বাজিমাত। পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফলের দিন থেকেই জল মাপা শুরু হয় পদমপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে। কারণ এই গ্রামপঞ্চায়েতে কে বোর্ড গঠন করবে তা নিয়ে শাসক তৃণমূলের পাশাপাশি বিরোধী শিবিরও বিশেষ তৎপর ছিল। জয়ী বিজেপি প্রার্থী বলেন, “আমরা চেয়েছি শাসক বিরোধী বোর্ড হোক। নির্দলের প্রধান, উপপ্রধান হলেন। ২০ বছর পর আমরা তৃণমূলকে সরালাম। ওদের অত্যাচার আমরা দেখেছি। তারই প্রতিবাদ ররতে আমরা এক হয়েছি। আগে থেকেই সমস্ত পরিকল্পনা ছিল।”

বাম নেতা শেখ আলতাবও বলেন, “দীর্ঘদিন তৃণমূল এলাকা দখলে রেখে স্বেচ্ছাচারিতা করেছে। তাই সকলে মিলে নির্দলকে সমর্থন দিয়ে বোর্ড গড়লাম।” প্রসঙ্গত, এখানকার আগের বোর্ডের উপপ্রধান ভোটের আগে গ্রেফতার হলেও সেই আসনে তৃণমূল কোনও প্রার্থী দিতে পারেনি। এখানে এক নির্দল প্রার্থী জয়ী হন। যদিও তৃণমূলের দাবি, এটা অনৈতিক বোর্ড গঠন।