Purba Medinipur: মহিষাদলে সমবায় সমিতিতে জয় তৃণমূলের, হেরেও বিজেপি বলছে, ‘এবার খেলা হবে’
Cooperative Society Election: মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদল ব্লকের লক্ষ্যা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের চকগাজীপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির পরিচালক মণ্ডলীর নির্বাচন হয়। এই সমবায়ে মোট আসন সংখ্যা ৪৪টি। যার মধ্যে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা জেতেন ২৮টি আসন। বিজেপি পায় ১৫টি এবং সিপিএম ও কংগ্রেস জোট ১ টি আসনে জেতে।

মহিষাদল: গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনেও এখানে এগিয়ে ছিল গেরুয়া শিবির। সেই মহিষাদলে সমবায় সমিতির নির্বাচনে জিতল তৃণমূল কংগ্রেস। আর সমবায় সমিতিতে জিতেই বিজেপি হুঙ্কার দিল রাজ্যের শাসকদল। আবার হারলেও নিজেদের ফলে খুশি বিজেপি। তাদের বক্তব্য, এবার খেলা হবে।
মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদল ব্লকের লক্ষ্যা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের চকগাজীপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির পরিচালক মণ্ডলীর নির্বাচন হয়। এই সমবায়ে মোট আসন সংখ্যা ৪৪টি। যার মধ্যে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা জেতেন ২৮টি আসন। বিজেপি পায় ১৫টি এবং সিপিএম ও কংগ্রেস জোট ১ টি আসনে জেতে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার নিরিখে সমবায়ের বোর্ড দখল করল তৃণমূল।
লক্ষ্যা-১ গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে। লোকসভা নির্বাচনে এলাকা থেকে বিজেপি ভাল ফল করেছিল। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবারের নির্বাচনে বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীদের টক্কর দেন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। এদিন সমবায়ের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ছিল টানটান উত্তেজনা। রাজনৈতিক গন্ডগোল এড়াতে পুলিশি নিরাপত্তা ছিল চোখে পড়ার মতো। এই সমবায়ের মোট ভোটার সংখ্যা ১০৯০। যার মধ্যে এদিন ভোট পড়ে ৮৮৯টি। ফল প্রকাশের পর তৃণমূল ও বিজেপি- দুই দলের সমর্থকরাই উল্লাসে মেতে ওঠেন।

হারলেও ১৫টি আসন পাওয়ায় উচ্ছ্বাস বিজেপি সমর্থকদের
ফল ঘোষণার পর বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা কমিটির সদস্য বিশ্বনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আশা করেছিলাম, আমাদের বোর্ড হবে। তবে আগে এই সমবায়ে একটিও আসন আমাদের ছিল না। শূন্য থেকে আমরা ১৫টি আসনে জিতেছি। এইবার খেলা হবে। দুর্নীতির মুখোশ খুলে দেব।”
এই সমবায় আগে তৃণমূলের দখলে ছিল। আবারও তারাই জিতল। জয়ের পর মহিষাদলের তৃণমূল বিধায়ক তিলককুমার চক্রবর্তী জানান, “বিজেপি অভিযোগ করে, তৃণমূল জোর করে সমবায়ে জয়লাভ করে। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচন হয়েছে বলেই ওরা আসন পেয়েছে। এই গ্রাম পঞ্চায়েতটি বিজেপির দখলে। মানুষের মোহভঙ্গ হয়েছে। তাই ওরা হেরেছে।” বিজেপির খাতা খোলা নিয়ে তিনি বলেন, “কী খাতা খুলল? গ্রাম পঞ্চায়েত তো বিজেপির দখলে। ২০২৬ সালে খাতা পুরো বন্ধ হয়ে যাবে।”
